
রমজান বছরে একবার আসার কারণে এ মাস সংশ্লিষ্ট অনেক মাসআলা–মাসায়েল অজানা থেকে যায়। আমাদের সিয়াম সাধনাকে আরও পরিশুদ্ধ করতে রোজা সংক্রান্ত মাসআলাগুলো জেনে নেয়া খুবই প্রয়োজন।
রোজা রেখে অনেক সময় রক্ত দেয়া বা নেয়ার প্রয়োজন হয়। প্রশ্ন জাগে—রোজা অবস্থায় রক্ত নিলে বা নিজ শরীর থেকে অন্য কাউকে রক্ত দিলে কি রোজা নষ্ট হয়ে যাবে?
এর উত্তরে আলেমগণ বলেন, রোজা ভাঙার কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক খাবারের প্রবেশ পথ দিয়ে শরীরে কোনো কিছু প্রবেশ করা। শরীর থেকে কোনো কিছু বের হলে রোজা নষ্ট হয় না। তাই রক্ত দিলে রোজা ভাঙবে না। কারণ, রক্ত দেওয়ার কারণে শরীরে কোনোকিছু ঢোকেনি।
তবে রোজা অবস্থায় এত বেশি পরিমাণে রক্ত দেওয়া মাকরুহ; যার ফলে শরীরে দুর্বলতা আসে।
হজরত মহানবী (সা.) রোজা রেখে সিঙ্গা বা হিজামা লাগিয়েছেন বলে হাদিসে বর্ণিত আছে।
অন্য এক হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আনাস বিন মালেক (রা.)–কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, ‘রোজা অবস্থায় শিঙ্গা লাগানোর বিষয়টি আপনি কি অপছন্দ করেন?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমি অপছন্দ করি না। তবে দুর্বল হয়ে পড়ার ভয় থাকলে ভিন্ন কথা।’ (সহিহ বুখারি: ১ / ২৬০)
এ ছাড়া রোজা রেখে নিজে রক্ত নিলে যেহেতু খাদ্যগ্রহণের স্বাভাবিক পথ দিয়ে শরীরে তা প্রবেশ করে না, তাই রোজা নষ্ট হবে না। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১ / ২০০)
এ ছাড়া রোজা রেখে ডায়ালাইসিস কিংবা রক্ত পরীক্ষা করালে রোজা ভাঙবে না। ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুঁচ ঢুকিয়ে যে একফোঁটা রক্ত নেওয়া হয়, এতেও রোজার ক্ষতি হবে না।
ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনস্যুলিন এবং ভ্যাকসিন নিলে রোজা নষ্ট হবে না। অবশ্য গ্লুকোজ জাতীয় ইনজেকশন অর্থাৎ যেসব স্যালাইন ও ইনজেকশন খাদ্যের কাজ দেয়, রোজা অবস্থায় মারাত্মক অসুস্থতা ছাড়া তা নেওয়া নাজায়েজ।
এ ছাড়া রক্তমাখা থুথু গিলে ফেললে যদি থুথুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি রক্ত অল্প হয়, আর থুথুর পরিমাণ বেশি হয়, তাহলে রোজা ভাঙবে না।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]