
রমজান মাস হল আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও আল্লাহর রহমত লাভের শ্রেষ্ঠ সময়। এ মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম। এখানে যেসব কারণে রোজা মাকরুহ হয়; তা তুলে ধরা হলো:
১. রোজা অবস্থায় কুলি করার সময় গড়গড়া করা এবং নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি পৌঁছানো মাকরুহ। লাকিত ইবনে সবিরা রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (অজু-গোসলের) সময় ভালোভাবে নাকে পানি দাও, তবে রোজাদার হলে নয়। ( তিরমিজি, হাদিস: ৭৬৬; আবু দাউদ: ১/৩২২)
২. এমন কাজ করা মাকরুহ, যার দ্বারা রোজাদার নিতান্তই দুর্বল হয়ে পড়ে। যেমন শিঙা লাগানো। (আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৫৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০০)
৩. রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের হলে বা ইনজেকশন ইত্যাদি দ্বারা রক্ত বের করলে রোজা ভাঙবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরুহ, যার দ্বারা রোজাদার খুব দুর্বল হয়ে যায়।
সাবেত আলবুনানী (রহ.) বলেন, আনাস (রা.) কে জিজ্ঞাসা করা হল রোজা অবস্থায় শিঙা লাগানোকে আপনারা কি মাকরুহ মনে করতেন? তিনি বলেন, ‘না। তবে এ কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে তা মাকরুহ হবে।’ (বুখারি, হাদিস ১৯৪০; রদ্দুল মুহতার ২/৩৯৫)
৪. রোজা অবস্থায় গিবত করলে, গালি-গালাজ করলে, টিভি-সিনেমা ইত্যাদি দেখলে, গান-বাদ্য শ্রবণ করলে এবং যে কোনো বড় ধরনের গুনাহে লিপ্ত হলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায়। আর এ কাজগুলো যে সর্বাবস্থায় হারাম, তা তো বলাই বাহুল্য। হাদিসে কুদসিতে আছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কেউ যখন রোজা রাখে তখন সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়। (বুখারি, হাদিস: ১৯০৪)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা-প্রতারণা ও গুনাহের কাজ ত্যাগ করে না মহান আল্লাহর কাছে তার পানাহার থেকে বিরত থাকার কোনো মূল্য নেই। (বুখারি, হাদিস: ১৯০৩; আবু দাউদ, হাদিস: ৩৩৬২ (১/৩২২)
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]