গর্ভাবস্থায় জরুরি কোরআনিক আমল
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৪
গর্ভাবস্থায় জরুরি কোরআনিক আমল
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সন্তান মহান আল্লাহর এক মহা নেয়ামত। সব মানুষই চায় তার সন্তান নেক হোক। আপনি তাকে গর্ভে নিয়ে যা করবেন, যেভাবে চলবেন, ঠিক সেরকমই একটা প্রভাব আপনার সন্তানের উপর পড়বে। তাই কোরআনিক আমল গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি জরুরি।


গর্ভস্থ সন্তান আনুমানিক ২০তম সপ্তাহের পর কোনো কিছু শোনার সক্ষমতা অর্জন করে। মা প্রতিদিন কিছু সময় কোরআন তেলাওয়াত করে বাচ্চা ও কোরআনের মাঝে সম্পর্ক জুড়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. বলেন, তোমাদের ওপর অবশ্যক হলো, তোমরা কোরআন শিক্ষাগ্রহণ করবে। তোমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দেবে। কেননা এ বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে। তার প্রতিদানও দেওয়া হবে। (বুখারির ব্যাখ্যাগ্রন্থ ইবনে বাত্তাল ৪৬ পৃষ্ঠা)


বুজুর্গ আলেমগুণ গর্ভাবস্থায় কিছু কোরআনিক আমলের কথা বলেন। সুরাগুলো পাঠ করলে উপকার পাওয়া যায়। সন্তান নেক হয়। সুরাগুলো গর্ভাবস্থার বিভিন্ন মাসে পাঠ করতে হয়। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে সুরা-আল ইমরান পড়লে সন্তান দামি হবে। দ্বিতীয় মাসে সুরা-ইউসুফ পড়লে সন্তান সুন্দর হয়। তৃতীয় মাসে সুরা মারিয়াম পড়লে সন্তান সহিষ্ণু হবে।


চতুর্থ মাসে সুরা লোকমান পড়লে সন্তান বুদ্ধিমান হবে। পঞ্চম মাসে সুরা মুহাম্মদ পড়লে সন্তান চরিত্রবান হবে। ষষ্ঠ মাসে সুরা-ইয়াসিন পড়লে সন্তান জ্ঞানী হয়। সপ্তম, অষ্ঠম, নবম ও দ্বশম মাসে সুরা-ইউসুফ, মুহাম্মদ ও ইব্রারাহিম কিছু কিছু পড়বে।


প্রসব ব্যাথা উঠলে সুরা-ইনশিকাক পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে পান করলে ব্যথা কমে যাবে। তাছাড়া ঘুমের পূর্বে অবশ্যই চার কুল তথা সুরা কাফিরূন, সুরা ইখলাস ও ফালাক ও সুরা নাস পড়ে হাতের তালুতে ফু দিয়ে সারা শরীরে হাত বুলিয় নিলে বহুবিধ ফায়দা পাওয়া যায়। এভাবে তিনবার করবেন।


দোয়ার অভ্যাস করুন। গর্ভকালীন সময়ে মাঝে মাঝে অসহায়বোধ হয়। এমনও মনে হয়, না-জানি এবার আমি মরে যাব কিনা! তাই গর্ভকালীন সময়ে দোয়ায় বেশি লিপ্ত হতে হয়। কেননা এসময়ের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহ বলেন, أَمَّن يُجِيبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوءَ বলো তো কে নিঃসহায়ের ডাকে সাড়া দেন যখন সে ডাকে এবং কষ্ট দূরীভূত করেন। (সুরা নামল ৬২)


তাছাড়া আপনি আপনার সন্তানের মা। আর মায়ের দোয়া কবুল হয়। সুতরাং নেক, সুস্থ ও সুন্দর সন্তান কামনা করে বার বার দোয়া করুন। এক্ষেত্রে কোরআনের বর্ণিত দোয়াগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। যেমন, এ দোয়াটি মুখস্থ করে নিতে পারেন, رَبِّ هَبْ لِىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً‌ۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ হে আমার পালনকর্তা! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (আল ইমরান ৩৮)


পুত্র-সন্তান লাভে যে দোয়া পড়বেন
رَبِّ هَبْ لِىْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَউচ্চারণ: রব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন। হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সৎ সন্তান দান করুন। এছাড়াও কোনো গর্ভবর্তী মহিলা যদি আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম (اَلْمُتَعَالِىْ) ‘আল-মুতাআলি’ এবং (اَلْمُبْدِئُ) ‘আল-মুবদিয়ু’ পড়তে থাকে তবে ওই মহিলা তার গর্ভকালীন কষ্টক্লেশ থেকে মুক্তি পায়।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com