শিরোনাম
পদ্মা সেতুর আবেগিক গুরুত্ব : নৌ-পথের চ্যালেঞ্জ (দ্বিতীয় পর্ব)
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২৯
পদ্মা সেতুর আবেগিক গুরুত্ব : নৌ-পথের চ্যালেঞ্জ  (দ্বিতীয় পর্ব)
প্রফেসর ড. মোঃ নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

১৯৮৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর। আমি সবে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায়। দুরন্ত বয়সের হওয়ায় নানান ছুতোয় বাড়িতে ঘোরাফেরা করছি। মা বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি। ছেলে বখে গেছে এমন অভিযোগ নাকি প্রায়শঃ তার কাছে আসতে শুরু করেছে। সেগুলো আমলে নিয়ে আমাকে কৌশলে বাড়ি থেকে বিদায় করতে যুক্তি খাঁড়া করলেন যে, ঢাকায় গিয়ে কোচিং না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবো না। এমন চিন্তা থেকেই মা দ্রুত বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেন।


আমার আজো মনে আছে-সেদিন প্রচন্ড খারাপ আবহাওয়া ছিল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরে বিপদ সংকেত উঠানামা করছিল। যাত্রাপথের শুরুতেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। বিকেল ৪টায় যেনো সন্ধ্যে নেমে আসে। অন্ধকার গ্রাস করে। স্রোত, তীব্র বাতাস আর বৃষ্টিতে লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত ১১ টার দিকে মেঘনা পাড়ি দিয়ে চাঁদপুর পৌঁছালে টার্মিনাল থেকে সকল নৌ-যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।


আমাদের লঞ্চটি ছিল তৎকালীন সামরিক সরকারের একজন ক্ষমতাসীন মন্ত্রীর। তাই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করে কে? লঞ্চটি সকল নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রী নিয়ে রাত ১২টার দিকে চাঁদপুর ছাড়ে। আমরা কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘন্টাখানেক পর ঘুম ভাঙে শত শত যাত্রীর আহাজারি, চীৎকার আর ভয়াল আর্তনাদ শুনে। লাফিয়ে উঠে পড়ি। ব্যাগ, ব্যাগে রক্ষিত কাপড়চোপড়, প্রেম-পত্র আর সপ্ত-রঞ্জির মায়া ত্যাগ করে আমিও সামিল হই অসহায় যাত্রীদের দলে। মনে মনে শুধু সৃষ্টিকর্তাকে স্মরি। মায়ের এমন নিষ্ঠুরতার কথা মনে পড়ে রাগে ক্ষোভে চোখে পানি আসে। মনকে সান্ত্বনা দেই একথা বলে যে, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যদি মায়ের কথায় সাঁতরে সাগর পাড়ি দিতে পারে, তাহলে আমি কোন নস্যি? হাজার হোক মায়ের আদেশে লঞ্চে চড়েছি। তাই ডুবে মরার ভয় নেই। এটা আমার সব সময়ের বিশ্বাস। নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা রক্ষা করবেন। তাকিয়ে দেখি দোয়া-দরুদ পড়ছে সবাই। সীমিত সংখ্যক জীবন রক্ষাকারী বয়া নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে কেউ কেউ।


প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে লঞ্চ দুলছে। মনে হচ্ছিল কেউ যেন দ্বিতল লঞ্চটিকে শূন্যে ছুঁড়ে আবার মর্ত্যে আছাড় মাড়ছে। সারেং সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করলেও বাতাসের তোড়ে যেন পেরে উঠছিলো না। কিছু প্রতিবাদী যাত্রী মাষ্টার ব্রিজে গিয়ে সিনিয়র সারেংকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লঞ্চ চালু রাখায় পেটাতে উদ্যত। আমি নিজেও সেই দলেই ছিলাম। স্পষ্ট দেখছি, পদ্মার ঢেউয়ের পানি পুরো পিছনের ডেক ভিজিয়ে দিচ্ছে। পানি উঠে যাচ্ছে লঞ্চে। অনেকেই নীচতলা থেকে ভয়ে দোতলায় উঠে আসছে। আনসাররা হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে যাত্রীদের একদিকে ভর করতে বারণ করছে যাতে লঞ্চটি কাঁত হয়ে হেলে না পড়ে। কিন্তু কে শোনে কার কথা?


আশেপাশে কোনো লঞ্চ বা সিগন্যাল টাওয়ারও নেই। নেই কোনো মাছ ধরার নৌকা। চোখে পড়েনি জেলেদের জালের চিহ্ন-সম্বলিত আলোক বাতি। শুধুই অন্ধকার আর চীৎকারে বাতাস আরো ভারী হতে লাগলো। কতক্ষণে এসব বন্ধ হবে তাও জানিনা। ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বাতাস, সঙ্গে ঢেউ আর বাড়ছে বজ্রসহ বৃষ্টি। ক্যান্টিনের কাপ-পিরিচ-প্লেট ভাঙ্গার শব্দ কান ছুঁয়ে গেলো। কেবিনে রাখা টিভি ভেংগে চৌচির। সামনে তাকিয়ে দেখি আনসার, টিকেট মাস্টার, সুকানি, স্টাফ সকলে কাপড়-চোপড় সংক্ষিপ্ত করে লুঙ্গি মালকোঁচা দিয়ে তৈরী লাইফবয়া নিয়ে প্রমত্তা পদ্মায় লাফ দিবে। ডুবে যাওয়ার আগে পদ্মায় ঝাঁপ দিয়ে জীবন বাঁচাবে। সার্চ-লাইটের ফোকাসে কুল-কিনারা কিছুই আন্দাজ করা যাচ্ছে না। আমি সারেং এর পাশে চুপ করে ঠায় দাঁড়িয়ে পার করে দিই আরো কিছুক্ষণ। বৃষ্টিতে আমার শরীর ভিজে একাকার। কতক্ষণ পার হয়েছে জানি না। সারেং যেনো যুদ্ধ করছেন বাতাস আর ঢেউয়ের সাথে। মুখে অনর্গল অভয় দিয়ে যাচ্ছেন। সবাইকে শান্ত থাকতে বলছেন বারবার।


ভোররাতের দিকে বাতাসের গতি কিছুটা দুর্বল হয়ে আসে। ততক্ষণে সর্বনাশা পদ্মা পাড়ি শেষ করে আমরা মুন্সীগঞ্জের নিকটবর্তী এর শাখা নদীতে প্রবেশ করি। সবাই যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। যাত্রীদের অস্থিরতা কেটে গেলো। সে যাত্রায় সবাই প্রাণ ফিরে পেলো। পরে শুনেছি, ইঞ্জিন মিস্ত্রীর দক্ষতায় সেদিন নাকি সবাই পার পেয়ে গেছি। মন খুলে শুধু ধন্যবাদ নয়, তাকে দোয়াও করলাম।


বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ফিরে এসে তওবা করি আর রাক্ষুসী পদ্মা-মেঘনার ওপর দিয়ে যাতায়াত করবো না। নৌ-পথ ছেড়ে সড়ক পথ ধরবো। কিন্ত ঐ যে ফেরী? ফেরীঘাট! বিলম্ব! শীতের রাতে কুয়াশা! নদীতে পানি কম তাই চরে আটকে ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা! অতঃপর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা কিংবা রুস্তমের টেনে তোলা! ফেরীতে খাবারের তীব্র সংকট! উফ! মুক্তি নেই। ৪ ঘন্টার ভ্রমণে এমনিতেই ১২ ঘন্টা লাগে। তার ওপর আবার চরে আটকে গেলে ১৮ ঘন্টা ব্যয়। ওষ্ঠাগত প্রাণ। আকাশ পথের কথাতো ভাবনাতেই নিতাম না। পারাবত আর বাংলাদেশ বিমান এর দুটো ফ্লাইট সপ্তাহে তিনদিন পালা করে ট্রিপ দিতো।


যাত্রীসংখ্যা দক্ষিণাঞ্চলের গুটিকয়েক ভিআইপির মাঝে সীমাবদ্ধ ছিল। তাই ছাত্রজীবনে আকাশ পথে ভ্রমণ ছিল আকাশ কুসুম কল্পনা। অতএব ঘুরে-ফিরে আবার সেই লঞ্চ, লঞ্চের সেই চিরচেনা পটভূমি, সেই পদ্মা-মেঘনা। চাইলেও জীবন থেকে কখনও এদের অস্তিত্ব এবং প্রভাব মুছে ফেলা সম্ভব না।


দক্ষিণাঞ্চলের প্রাণ হচ্ছে নদী। নৌ-পথে ভ্রমণ যেনো সেই প্রাণের স্পন্দনকেই আরো জাগিয়ে তোলে। দুর্ঘটনার খবর যেমন মনকে ভারাক্রান্ত করে আবার অনেক রোম্যান্টিক কাহিনীর জন্ম দিতেও এ নৌ-পথের জুড়ি নেই। পূর্ণিমা রাতে লঞ্চের রিভার-সাইডের কেবিনে বসে প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে শান্ত নদীর ঝিকমিকে দৃশ্য অবলোকন করে চার লাইন কবিতা লেখেননি এমন বেরসিক কেউ আছেন কিনা জানা নেই। আমার উত্তরবঙ্গের অনেক বন্ধু চাঁদনী রাতে লঞ্চ ভ্রমণকে তাদের জীবনের সেরা রোম্যান্টিক রাত বলে স্বীকৃতি দিতে সামান্য কুণ্ঠাবোধ করেনি। তাই অভিজ্ঞতার আলোকে হলফ করে বলতে পারি, যারা এখনো এমন সুযোগ নেননি, তড়িঘড়ি করে শীত মৌসুম থাকতেই ঘুরে আসতে পারেন। পদ্মা সেতু পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে তখন আর এমন ইচ্ছে ও সুযোগ নাও হতে পারে।


নিত্যনতুন কত-শত ঘটনা যে নৌ-পথে ঘটে তার ইয়াত্তা নেই। কয়েক বছর আগের কথা। ঈদে পরিবারসহ বাড়ি যাচ্ছিলাম। লঞ্চ ছাড়ার সময় তখনো হয়নি। কেবিনে ব্যাগ রেখে বরাবরের মতো পুরো লঞ্চ চক্কর দিতে বের হলাম। উদ্দেশ্য-এলাকার বন্ধু-বান্ধব কেউ যদি আমাকে দেখে নাম ধরে ডাকে, তখন সময়টা তাদের সঙ্গে নষ্টালজিয়ায় কাটানো যাবে। ছাদের পিছনে গিয়ে দেখি উৎসুক জনতার ভীড়। সবাই উঁকি দিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীতে কি যেনো দেখছে? অনেকেই চীৎকার করছে ‘ধর, ধর, বেটা ছিনতাইকারী...। মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছে, ওকে ধর ধর......’। আমিও উৎসুক জনতার সাথে নদীর দিকে তাকাই। খানিক পরে দেখি কিছু সংখ্যক লোক ১০/১২ বছরের একটি ছেলেকে বুড়িগঙ্গা থেকে নৌকায় টেনে তুলছে। ছেলেটি রক্তাক্ত। জানতে পারলাম, ছাদে নামাজ পড়ারত কোনো এক যাত্রীর সামনে থেকে ঘড়ি, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে ঐ ছেলে বুড়িগঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছে। সরাসরি পানিতে না পড়ে সে প্রথমে নৌকায় ও পরে ছিটকে নদীতে পড়ে। কিছু উদ্ধার করা দূরে থাক; আধামরা অবস্থায় ছেলেটিকে উদ্ধার করে নৌকার মাঝি ও ঘাটের লোকজন নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে বলে চ্যাঁচামেচি করছে, শুনলাম। আফসোস! যে বয়সে ওর স্কুলে যাবার কথা সে বয়সে কিনা দুঃসাহসিক ছিনাতাইয়ের সাথে জড়িয়ে সে নিজের জীবননাশ করছে। লঞ্চে গল্পচ্ছলে অনেকের মুখেই এমন ছিনতাইয়ের লোমহর্ষক কাহিনী বহুবার শুনেছি। কিন্তু প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা এটাই প্রথম। অতএব এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চাইলে পূর্ব- সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন।


জন্মস্থানের প্রতি একান্ত স্বাভাবিক মানবিক আকর্ষণ-জাত মর্ত্যপ্রীতি, অথচ সে প্রীতিকে উদার না বলে আঞ্চলিক সংকীর্ণতা মনে করেন অনেকে। এ থেকেই এমন চিন্তার উদ্রেগ কিনা যে, দক্ষিনবঙ্গের মানুষ সদা সবকিছুতেই নিজের দখলদারিত্ব পছন্দ করে। যেমন ক্লাসে প্রথম স্থান দখল, হলে সিট দখল, নতুন চর দখল, এমনকি সংক্ষিপ্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে লঞ্চের ডেকে জায়গা দখল ইত্যাদি। একক আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে অধিক অঞ্চল-প্রীতি থেকেই এমন ‘ইজম’ এর সৃষ্টি হয়ে থাকে। ভৌগলিক প্রভাবের কারনেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সংগ্রামী এবং সবকিছুতে সংগ্রাম করেই নিজের দখলদারিত্ব ধরে রাখতে চায়। তাই বলে বিবেকহীন দখলদারিত্ব নয়। মানবিকতার নির্যাসে আস্বাদিত ছোটখাটো কিছু দখলদারিত্ব অনেক সময় রাজ্য জয়ের মত অনাবিল আনন্দ নিয়ে আসে। ঘটনাটি ব্যাখ্যা করলে আরো স্পষ্ট হবে।


ছাত্রজীবনে আমি যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি তার মধ্যে অন্যতম ছিল লঞ্চের ডেকে সামান্য জায়গা দখলে রাখা। এটি নিঃসন্দেহে একটি কঠিন কাজ। ঈদ, পূজা, শীত-গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে দলবেঁধে একসাথে বাড়ি যেতাম। দিনক্ষণ ধার্য করে যাত্রার দিন খুব সকালে একজনকে সদরঘাটে পাঠিয়ে দিতাম। সে লঞ্চে উঠে রশি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে তাতে সাইনবোর্ড সেঁটে দিতো। ঐ সাইনবোর্ড পড়ে কার বাপের সাধ্যি সেখানে গিয়ে বসে! সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার আগেই পুরো লঞ্চ যাত্রী দ্বারা ঠাঁসা। তিল ধারনের ঠাই নেই। অথচ ঐ সাইনবোর্ডের বদৌলতে রশি দিয়ে ঘেরা সেই জায়গাটুকু এক্কেবারে ফাঁকা। কেউ সাহস নিয়ে সেখানে বসতো না। কি লেখা থাকতো সেই সাইনবোর্ডে? ‘এই জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০জন ছাত্রের জন্য সংরক্ষিত। কেউ বসিবেন না। বসিলে পরিনতি হবে ভয়াবহ’। এমন কঠিন বাক্য পাঠ করে কে মিছেমিছি ঝামেলা বাড়াবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলে একটা ব্যাপার আছে না! এটাই ছিল ছাত্রাবস্থায় একটু আরামে বাড়ী যাওয়ার একমাত্র কৌশল।


কিন্তু আশ্চর্য কি জানেন, পাশেই যখন দেখতাম কোনো এক বৃদ্ধ বাবা দাঁড়িয়ে শীতে কাঁপছে, কিংবা কোনো এক গর্ভবতী মা জায়গা না পেয়ে লঞ্চের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে বেজায় কষ্ট পাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে বসতে দিয়ে নিজেরা ছাদে কিংবা কেবিনের সামনে সারারাত ঘুরাঘুরি করতাম। প্রত্যূষে ব্যাগ, বিছানার চাদর আনতে গেলে প্রত্যক্ষ করতাম, গর্ভবতী মা মনে দারুণ প্রশান্তি নিয়ে চিরুনি দিয়ে চমৎকার করে মাথা আচড়াচ্ছে। পাশেই তার স্বামী মৃদু হেসে আমাদেরকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে। তাদের হাসিমাখা মুখখানি আজো যেন মানসপটে ভেসে উঠে। অন্যের জন্য এই সামান্য কাজটুকু করতে পারার মাঝে যে এত আনন্দ ছিল তা বলে বুঝাতে পারবো না।


তখনকার দিনে লঞ্চ-জার্নির ক্ষেত্রে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় একটি প্রবাদ প্রচলন ছিল ‘হাত রাখার কথা বলে প্রথমে ব্যাগটা রাখে। ব্যাস, এরপর বসে, এর কিছুক্ষণ পর শোয়। শুয়ে আবার নিজের লোকদের দাওয়াত করে’। একসময় যিনি আশ্রয় দিলেন, দেখা গেলো তিনি নিজেই উদ্ববাস্ত হয়ে লঞ্চের এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরি করছেন। তাই যারা পূর্ব-প্রস্তুতি না নিয়ে লঞ্চে চড়ে বসবেন তারা দয়া করে কেউ ধৈর্য হারাবেন না।


লেখক : ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়


বিবার্তা/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com