শিরোনাম
পদ্মাসেতুর আবেগিক গুরুত্ব নৌ-পথে লবডঙ্কা (১ম পর্ব)
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২১, ২০:২০
পদ্মাসেতুর আবেগিক গুরুত্ব নৌ-পথে লবডঙ্কা (১ম পর্ব)
প্রফেসর ড. মোঃ নাসির উদ্দীন মিতুল
প্রিন্ট অ-অ+

জন্ম বরিশালে। লেখাপড়া ঢাকায়। চাকরি রাজশাহীতে। বুঝতেই পারছেন পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মাঝেই কেটেছে জীবন। এদের শান্ত-অশান্ত উভয় চেহারার কোনোটাই আমার অদেখা নয়। ১৯৮৬ সালে রাক্ষুসী মেঘনার বুক থেকে লাশ কুড়িয়েছিলাম। তখন সবে আমি ক্লাস নাইনের ছাত্র। অ্যাটলাস স্টার নামক দ্বিতল লঞ্চটি টর্নেডোর আঘাতে মেঘনার উপশাখায় চাঁদপুরের নিকট ডুবে যায়। লঞ্চে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল। স্কুল রেড-ক্রসের সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী হওয়ায় সেই বয়সে মায়ের অনুমতি ছাড়াই এ কাজে যুক্ত হয়েছিলাম। ছোট্ট একটি লঞ্চ নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব এর পক্ষ থেকে সেদিন আমরা নিজ এলাকার লাশ নিতে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। উদ্ধার করেছিলাম প্রায় ১২টি লাশ। দেখেছিলাম এক বিভীষিকাময় দৃশ্য। লঞ্চডুবির সন্নিকটে নদীপাড়ে ক্যাম্প করা হয়েছিল। একদিকে স্বজনদের আহাজারি আর অন্যদিকে এক-একটি লাশ নদী থেকে উদ্ধারের পর মানুষের হুমড়ি খেয়ে পড়া আমায় দারুন বিচলিত করেছিলো।


লাশের বীভৎসতা বহুরাত আমায় ঘুমোতে দেয়নি। সেদিন যেমন কিছু পরোপকারী স্বেচ্ছাসেবকদের দেখেছিলাম যারা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে স্বজনদের নিকট হন্তান্তর করছে। তেমনি অতি নিষ্ঠুর কিছু পাষণ্ডদের কর্মকাণ্ডও আমাকে দারুনভাবে ব্যথিত করেছিল। একদিকে কিছু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রমত্ত পদ্মায় নিজ নিজ এলাকার লাশগুলো স্বজনদের নিকট তুলে দিতে ব্যাকুল। অন্যদিকে নদী পাড়ের আরেকদল ডাকাতরুপী কতিপয় স্থানীয় জেলে ডুবে যাওয়া লাশের শরীর থেকে স্বর্ণালংকার, ঘড়ি, মানিব্যাগ হাতিয়ে নিতে তটস্থ। হায়রে মানুষ! এ কেমন নির্মমতা! লক্ষ্য করলাম, কিছু লাশের হাত থেকে আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন। কারোবা হাত থেকে কব্জি আলাদা। বুঝতে বাকি রইলো না যে, পানি খেয়ে শরীর ফুলে যাওয়ায় লাশ থেকে ওসব গহনা, ঘড়ি খুলে নেয়া বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। জলদস্যুদের তাই তর সহেনি। দ্রুত ওসব খুলে নিতে দা-চাক্কু, কাস্তে বা ছুঁড়ি ব্যবহার করে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন করে নেয় তারা।


এটা ৩৪ বছর আগের ঘটনা। ভেবেছিলাম জাতি হিসেবে আমরা শিক্ষিত হয়েছি। সমাজ, সভ্যতা, অর্থনীতিতে এগিয়েছি বহুদূর। কিন্তু মুন্না ভগত এই সাম্প্রতিককালে এটি কি কান্ড করলো? একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমাদেরকে এর চেয়ে নির্মম, নিষ্ঠুর, বিবেকহীন ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে হবে ভাবিনি। মর্গে পরপর বেশ কয়েকজন মৃত নারী ধর্ষণ করে মানুষরূপী এ হায়ানা জানিয়ে দিলো বর্তমান জামানার মাৎস্যয়নার কথা। বিদ্যুৎবিহীন বিচ্ছিন্ন চরের জলদস্যুরা রাতের অন্ধকারে লোভের বসে লাশের অংগ-ব্যবচ্ছেদ করে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়েছে বুঝলাম, কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে হাজারো নিয়ন বাতির আলোকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গের ডোম মুন্না ভগতের এমন বিকৃত লালসা কিভাবে মেনে নিই? মৃতদের সঙ্গে সঙ্গম! এটি একটি মারাত্মক সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার! ইংরেজিতে এ রোগকে বলে ‘নেকরোফিলিয়া’। মুন্না যে এক কঠিন নেকরোফিলিক পাপী। তাই তার এই ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষমা নেই। মর্গে মুন্না ডোম যা করেছে তা বিকৃত ও অতি মাত্রায় বীভৎস। তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে অবশ্য তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে এবং শাস্তি অনিবার্য।


বলছিলাম লঞ্চ ডুবি ও লাশের কথা। নদীর তীরে সেদিনকার এ ঘটনা থেকে আমার এ উপলব্ধি জন্মেছে যে, প্রকৃত মৃত আসলে কারা? যারা পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিল তারা? নাকি লাশের অঙ্গ-ব্যবচ্ছেদ করে যারা এহেন গর্হিত অপরাধ করে, সে সব অসভ্য, লুটেরারা? পদ্মার পাড়ে একাকী এ নির্মমতা প্রত্যক্ষ করা আমার ঐ বয়সের সাথে ঠিক যায়নি। তাই মেনে নিতে পারিনি বলে আজো যখন নৌ-পথে পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাওয়ার কথা মনে উঠে, তখন যেন আমি ঘুমোতে পারিনা। চোখের সামনে চলে আসে এ ঘটনাগুলো। আর সব দোষ তখন গিয়ে পড়ে ঐ সর্বনাশা পদ্মা-মেঘনার ওপর। ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা রুটে ভ্রমণকালে পদ্মা-মেঘনার নাম আতংকের সাথে স্মরণে নিয়ে দোয়া-দরুদ পড়েনি, এমন যাত্রী খুব কমই আছে। পদ্মার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত তখনো যেমন দেখা যায়নি, আজো তা দৃশ্যমান নয়। আর এর গর্জন! সেতো নিজেই বহুবার প্রত্যক্ষ করেছি। অতএব, কোনো একদিন এই সর্বনাশা পদ্মার উপর সেতু হবে এমন ভাবনা কল্পনায়ও আসেনি।


প্রমত্তা পদ্মা-মেঘনার ভয়াল ছোবলে নিজেই লাশের কাতারে সামিল হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিবারই অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি। ঘুরেফিরে সেসব ঘটনা মনে পড়ে। গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা পৌঁছুতে নৌ-পথে টানা ১২ ঘন্টা লাগতো। বিকেল ৪টায় যাত্রা শুরু করলে সারারাত তা অব্যহত থাকতো। পরেরদিন ভোরের আলো ফুটলে ঢাকার মুখ দেখতাম। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে লঞ্চই একমাত্র বাহন। ছাত্র অবস্থায় বিলাসিতা মানায় না। তাই অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কেবিনে যাওয়া যাবে না। এমন তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই মা বাবা বড় ভাইবোন সবাই শুধাতো, ‘এখন কষ্ট করলে পরে কেষ্ট মিলবে’। মনে পড়ে, দ্বিতল লঞ্চের পিছনের ডেক ছিল হাড়কাঁপানো শীতে একটু উষ্ণতার আধার। ইঞ্জিন বরাবর থাকায় তা থেকে গরম ছড়াতো বেশ। সেখানেই একটুকরা সপ্ত-রঞ্জি বিছিয়ে কুকুরকুণ্ডলী হয়ে সারারাত ঘুমানোর চেষ্টা করতাম। আসলে নিজেকে লুকিয়ে রাখার বাসনা থেকেই এমন স্থান বেঁছে নিতাম। বড় ঘরের সন্তান ছিলাম কিনা! পাশের বাড়ির কেউ কেবিনে যাচ্ছে আর আমি কিনা সাধারণ যাত্রীদের সাথে ডেকে যাচ্ছি! গেলোরে গেলো! মান-সম্মান সব গেলো! এমন নিম্নশ্রেণীর যাত্রার কথা কেউ যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাউকে বলে দেয়, তখন কি ভাববে সবাই আমাকে? তাছাড়া ‘তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীদের কেবিনে প্রবেশ নিষেধ’ এমন একটা হক-কথা লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের মেনে চলতেই হতো। তাই ঝুঁকি নিতাম না। কষ্ট করে চুপচাপ থাকতাম। অপেক্ষার প্রহর গুনতাম কখন সকাল হবে। কখন সদরঘাটের লাল-নীল নিয়ন বাতি চোখে পড়বে? কখন হলে পৌছাবো?


চোখ বন্ধ করলেই যেন প্রলয় বন্ধ হয়ে যাবে এমন ভাবনা থেকেই ঘুমের ভান করতাম। নিজের প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ভরে আনা ব্যাগ মাথার নীচে বালিশ বানিয়ে ব্যবহার করতাম। আশে পাশের অবস্থা রঙ্গমঞ্চের মতোই। তাকালে যা চোখে পড়বে তার চেয়ে না তাকানোই শ্রেয়। তবুও চোখ চলে যায়। লঞ্চের প্রবেশদ্বারে বসানো আছে ভাতের ক্যান্টিন। অনবরত সেখানে মাছ-ভাত খাওয়ার আয়োজন চলছে। একটুও ফুরসৎ নেই। খাবারের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন আরো অনেকেই। বিশাল লাইন। পাশেই ভিসিআরে চলছে হিন্দি ছবি ‘কুলি’। মাইকের শব্দে ওষ্ঠাগত প্রাণ। মনে হবে কাল কিয়ামত। ডেকের অনেকেই মনোযোগ দিয়ে সিনেমা দেখছে। কেনো কোনো আবেগী নারী-পুরুষ তা দেখে আবার কান্নাও জুড়ে দিচ্ছে। নীচতলার চেয়েও আরেক ধাপ নীচে (পানির মধ্যে অবস্থিত লঞ্ছের ফাঁপা অংশ যাকে বেজমেণ্ট বলে; লঞ্চেএ এই অংশটুকুকে বলে ‘খন্দুল’) পণ্য পরিবহনের জন্য রক্ষিত স্থানে মানুষ ও পণ্য উভয়ই স্তুপকারে অবস্থান করছে। অক্সিজেন প্রবেশের জন্য সামান্য একটু জায়গা ফাঁকা করে তাতে ম্যানহোলের ন্যায় ঢাকনা ব্যবহার করা হয়। ঢাকনা সরিয়ে ঐ টুকুন ফাঁকা জায়গা দিয়ে অনেকেই কচ্ছপের মতো মাথা উঁচু করে সেই সিনেমা দেখছে। জীবনের মায়া এদের কাছে তুচ্ছ। ডুবে গেলে সবার আগে লঞ্চের এই অংশের মানুষের দ্রুত সলিল-সমাধি ঘটে। এটা এরাও জানে। তবুও মানছে না।


বিক্ষিপ্তভাবে গোটা লঞ্চের ডেকে চারজন করে তাস নিয়ে বসে জমিয়ে চলছে জুয়ার আড্ডা। পাশ থেকে আবার তা হুমড়ি খেয়ে দেখছেন অনেক দর্শক। মুখে হাসি, চোখে কৌতূহল। কেউ কেউ আবার পরামর্শ দিচ্ছেন। যিনি হেরে গেলেন তার আপত্তি ও বাক-বিতণ্ডা অনেক সময় মুখের কটু-কথা ছাপিয়ে হাতাহাতিতে ব্যস্ত করে তোলে। শুরু হয় মারামারি। ভাইরাস সংক্রমণের মতো এ মারামারি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সকল তাসারুদের মাঝে। অশান্ত হয়ে উঠে গোটা লঞ্চ। বেজে উঠে নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা আনসারের বাঁশী। চুরি হয়ে যায় সাধারণ যাত্রীর ব্যাগ, জুতা, টিফিন ক্যারিয়ার, বিছানার চাদর।


হুলস্থূলের মধ্যে ভুলে যাই ভালবাসার মানুষটির প্রেমপত্রে লেখা আবেগী শব্দগুলো। একটু শান্তি পাওয়ার আশায় মাত্রই মাথার নীচের ব্যাগ থেকে বের করে পড়তে নিলাম চিঠিটা। আর অমনি কিনা গন্ডগোল বেঁধে গেলো। সব খোয়া যাক। তবু চিঠিটা সযত্নে থাক। জুতা, সপ্ত-রঞ্জি খোয়া গেলে কিনে নেয়া যাবে, কিন্তু চিঠি হারালে লঞ্চের বাকিটা সময় কাটাবো কি করে? তখন যে হারিয়ে যাবে আমার সারা রাতের ভালো লাগার সব কল্পনাগুলো। ইঞ্জিনের হালকা উষ্ণতার আরাম মুহূর্তেই তীব্র ভ্যাপসা গরমে পরিণত হয়ে আমার সব কল্পনাকে গ্রাস করলো। এভাবে কেটে যায় বেশ কিচ্ছুক্ষণ।


ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে পরিস্থিতি। যাত্রীরা যে যার অবস্থানে চুপ হয়ে গেলো। বুঝতে পেরেছি রাত গভীর হয়েছে। ঘুমানো প্রয়োজন। হালকা তন্দ্রার মত এলো। আবারো সেই চিঠির কয়েকটি লাইন ‘আমাকে ঘৃণা করতে হলে আকাশের ঐ উজ্জ্বল নক্ষত্রটিকে ঘৃণা করো, ভুলে গেলে মনে রেখো আমার মরণ হবে......ইত্যাদি’ মনে করতেই পায়ের কাছে নরম হাতের স্পর্শ অনুভব করি। চিঠির কল্পনা আর নরম হাতের ছোঁয়া মন্দ লাগছে না। ইচ্ছে করেই পা দুটো আরেকটু ছড়িয়ে দিই। পা থেকে সে হাত সংগোপনে উপড়ের দিকে উঠছে। ছড়িয়ে থাকা হাতটিতে এবার হালকা চাপ অনুভব করায় ব্যাপারটা জানতে উঠে বসি। দেখি ১৫-১৬ বছরের একটি মেয়ে চোখ দিয়ে যা ঈশারা করছে তাতেতো আমার আক্কেলগুড়ুম! ভরকে গিয়ে ধমকে উঠি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়ে হালকা ধমক খেয়ে পাশ ফিরে মেয়েটি অন্যদিকে শুয়ে থাকার ভান করলো। বাকি রাত আমার চিন্তার রাজ্যে চিঠি, মেয়েটির স্পর্শ, তাসারুদের হাতাহাতি, জিনিসপত্র চুরি হয়ে যাওয়া যাত্রীদের আহাজারি, লঙ্গরখানার খাওয়া দাওয়া, হিন্দি সিনেমার দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়, পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের গন্ধ সবকিছু ভর করতে লাগলো।


সকালে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছে শুনলাম, লঞ্চে তাসারুদের একটা বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। এরা নিয়মিত পালা করে ভোলা থেকে লঞ্চের অধিকাংশ খালি জায়গা দখল করে নিজেদের আয়ত্তে রাখে। পরে চড়া দামে অসহায় যাত্রীদের কাছে তা বিক্রি করে। এছাড়া লঞ্চে উঠেই নিজেদের মধ্যে ‘ম্যাচ-ফিক্সিং’ করে তাস খেলা আরম্ভ করে আর অন্যদের এই খেলায় বাজী করতে আকৃষ্ট করে। খেলায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকলে হাতিয়ে নেয় ঐ যাত্রীর সবকিছু। তখন আর গণ্ডগোলের প্রয়োজন পড়ে না। হেরে গেলে ইচ্ছে করেই ঝামেলা পাকায়। গোটা লঞ্চ অশান্ত করে নিজেদের লোকজন দিয়ে চুরিতে লিপ্ত থাকে। একাজে তারা পুরুষ-মহিলা উভয়কেই ব্যবহার করে। টিকেট শো করে লঞ্চ থেকে নামতে হয়। টিকেট খুঁজতেই প্যান্টের পিছনের পকেটে হাত দিই। একি! আমার মানিব্যাগ? মানিব্যাগতো নেই! সেরেছে! সম্ভিৎ ফিরলে বুঝতে বাকী রইলো না যে, সেই অল্প বয়সী মেয়েটি ঘুমের মধ্যে তার হাতের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।


(১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে প্রমত্তা পদ্মায় অস্থির একরাত, পদ্মাসেতু কেন গণ-মানুষের স্বপ্ন ও আবেগ? কিভাবে এটি বিশ্বইতিহাস হতে যাচ্ছে জানতে চোখ রাখুন ২য় পর্বে)।


লেখক : ডিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।


বিবার্তা/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com