
জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিএনপির তিন সংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে, সকাল থেকেই রাজধানীসহ ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় কারও হাতে দলীয় পতাকা, কারও হাতে ব্যানার, আবার কারও হাতে ফেস্টুন দেখা যায়। কেউ কেউ আবার নেচে-গেয়ে স্লোগানে-স্লোগানে কর্মসূচিতে প্রাণচাঞ্চল্য যোগ করেন।
জানা গেছে, ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ শিরোনামে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ সমাবেশস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি দলীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানা গেছে।
আয়োজকদের ভাষ্য, তরুণদের নিয়ে ধারাবাহিক সেমিনার ও সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি বৃহৎ নীতিগত প্রয়াস। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের রাষ্ট্রচিন্তায় তরুণদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা পল্টনে মহাজনসমুদ্র দেখছি, একটি আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করে।
তিনি আরও বলেন, সেই একটি আকাঙ্ক্ষা হলো, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে ভোটের অধিকার, এর মাধ্যমে আমরা গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি বাস্তবায়ন করব। এর মাধ্যমে আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।
এর আগে, গত ২৬ মে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের বিষয়ে জানান আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেন, আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জিত হয়েছে। ঢাকার সমাবেশে সব রেকর্ড ভেঙে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী যোগ দেবেন বলে আশা রাখছি।
প্রসঙ্গত, তরুণদের কাছে টানতে মে মাসজুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপির তিন সংগঠন। কর্মসূচি অনুযায়ী, চারটি বড় বিভাগ ও শহরে দুই দিন করে মোট আট দিন সেমিনার ও সমাবেশ করছেন তারা। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ হয়েছে। সবশেষ আজ রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]