ঢাকা টাইমস সম্পাদক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার: সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৩
ঢাকা টাইমস সম্পাদক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার: সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনকে মানিলন্ডারিংয়ের একটি মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠানোকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলছেন, আইনানুগভাবে এখনো তিনি মামলার আসামিই নন। এ ঘটনাকে দুঃখজনক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেছেন নেতৃবৃন্দ।


সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আরিফুর রহমান দোলনকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় রবিবার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন দোলন। ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতা ছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী। যিনি নির্বাচিত হয়ে এখন মন্ত্রী। আরিফুর রহমান দোলন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’


সাংবাদিক দোলনকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিক্রিয়ায় ১০ মার্চ, রবিবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও আরিফুর রহমান দোলনকে কারাগারে প্রেরণ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সাংবাদিকতার পাশাপাশি যেহেতু তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, সেহেতু তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।’


ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘মামলায় প্রমাণিত হওয়ার আগেই একজন সাংবাদিককে এভাবে কারাগারে পাঠানো খুবই দুঃখজনক। দোলন ভাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, এটা বোঝাই যাচ্ছে। তবুও বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত। এভাবে একজন সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো উচিত নয়।’


বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু মামলা চলমান রয়েছে, এখন পর্যন্ত রায় হয়নি এবং দোলন ভাই একজন সাংবাদিক, তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করা যেতো। তিনি তো আর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। আর তিনি একটি পত্রিকার সম্পাদক, দেশ ছেড়ে পালাতেনও না।’


ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনকে মানিলন্ডারিংয়ের মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠানো হলেও বাস্তবে আইনানুগভাবে এখনো তিনি ওই মামলার আসামিই নন। ফরিদপুরের দুই ভাই বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডি রাজধানীর কাফরুল থানায় যে মামলা করে তাতে প্রথমে ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ও ৪১ জনকে অব্যাহতি (NON SENT UP) দেয়। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণও করে। পরে অভিযোগ গঠনের সময় আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠায় সিআইডিকে। এই মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন ছয়জন। তারা হলেন- বরকত, রুবেল, নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আশিকুর রহমান ফারহান, নিশান মাহমুদ শামীম ও বিল্লাল হোসেন।


এদের মধ্যে শুধুমাত্র বরকত গণহারে ৫১ জনের নাম বলেন, ওই জবানবন্দিতে এক জায়গায় শুধু একবার আরিফুর রহমান দোলনের নাম আছে (বাকি পাঁচজনের কেউই দোলনের নাম বলেননি)।


৫ মার্চ আরিফুর রহমান দোলন যথারীতি আদালতে হাজিরা দেন। ওইদিনও সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানির তারিখ দেওয়া হয় ২২ এপ্রিল। কিন্তু নিয়মিত হাজিরা দেওয়া ঢাকা টাইমস সম্পাদককে কারাগারে পাঠান আদালত।


আরিফুর রহমান দোলন ঢাকা টাইমস ছাড়াও সাপ্তাহিক এই সময় পত্রিকার সম্পাদক। তিনি আলফাডাঙ্গার বেগম শাহানারা একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা এবং কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির সভাপতি ও আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের সভাপতি।


কর্মজীবনে আরিফুর রহমান দোলন আমাদের সময় এর নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন এর উপ-সম্পাদক ও প্রথম আলো’র ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ছিলেন।


তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য।


সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা টাইমস-এ কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


বিবার্তা/রোমেল/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com