আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বাংলাদেশে তথ্য সন্ত্রাসের জনক তারেক রহমান। সে লন্ডনে বসে অর্থ দিয়ে মদদ দিয়ে সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে।
রবিবার (১৭ অক্টোরব) জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘স্বপ্ন ও সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গ রাসেল’ র্শীষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ। এই শান্তির দেশকে একটি গোষ্ঠী সব সময় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। লন্ডনের মদদে তারা সারাদেশ অস্থিতিশীল করছে। তারা সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করছে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চায় না, তারাই সিরিজ বৈঠক করে। তারা সিরিজ বৈঠক করে আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র করে। তারা রাতের আঁধারে পবিত্র কোরআন মন্দিরে পাঠিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে সারাদেশে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র আমাদের প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু কোথাও নারী বা শিশুকে হত্যা করা হয়নি। ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশে জিয়া মোস্তাক গংরা এই নিকৃষ্ট কাজ করেছে। তারা শুধু জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা চেয়েছিলো জাতির পিতার সব স্বপ্নকে শেষ করে দিতে।
তিনি আরো বলেন, জিয়া জাতির পিতার খুনিদের বাচিয়ে প্রমাণ করেছে যে এই দেশে শিশু বা নারীদের হত্যা করলেও রক্ষা পাওয়া যায়। এদেশে শিশু বা নারীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিকে অপমানিত করেছে, জাতীয় সংসদকে অপমানিত করেছে। দেশের সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে।
শেখ রাসেলকে স্মরণ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যদি শহীদ শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন তাহলে তিনি পরিপূর্ণ মানুষ হতেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও সংসদ সদস্য ইন্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।
বিবার্তা/সোহেল/আরকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]