শিরোনাম
শতাধিক ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে বিএনপিও বিব্রত
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২১, ১০:১৫
শতাধিক ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে বিএনপিও বিব্রত
জাহিদ বিপ্লব
প্রিন্ট অ-অ+

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের নাম ভাঙানো সুবিধাভোগী ভুঁইফোড় সংগঠনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে। এসব ভুয়া সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদেরও করা হচ্ছে সতর্ক। তবে পিছিয়ে নেই জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোও। এসব ভুঁইফোড় সংগঠন নিয়ে বিব্রত বিএনপির নেতারা। এদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দলটি।


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে প্রায়ই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বিএনপিকে। গত সোমবারও ‘শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিবৃতি দিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন।


এসব সংগঠন দেশব্যাপী বিএনপি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে নানা অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে সারাদেশের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।


অভিযোগ রয়েছে, জিয়া পরিবার ও বিএনপির নাম ব্যবহার করে ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে প্রবাসে একটি চক্র লাখ লাখ টাকার কমিটি বাণিজ্য করছে। কমিটি অনুমোদনের নামে চক্রটি বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করে টাকার বিনিময়ে ভুয়া প্যাডে কমিটির অনুমোদন দিচ্ছে।


ইতিপূর্বেও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভুইফোড় সাতটি সংগঠনের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে ওই সংগঠনগুলোর সাথে বিএনপির যে কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংগঠনগুলো হলো জাতীয়তাবাদী তরুণ দল, জাতীয়তাবাদী বন্ধুদল, জিয়া ব্রিগেড, জিয়া মঞ্চ, দেশনেত্রী পরিষদ, তারেক রহমান পরিষদ, তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ।


বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিয়ে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ক্ষুব্ধ ও বিব্রত। এগুলো বিএনপির অনুমোদিত কিংবা সমর্থিত কোনো সংগঠন নয়। গঠনতন্ত্রেও এসব তথাকথিত সংগঠনের কোনো স্থান নেই। কিছু সুযোগসন্ধানী চক্র এসব কর্মে লিপ্ত।


বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, আমাদের কিছু সিনিয়র নেতা সরল বিশ্বাসে এসব চতুর সুযোগসন্ধানীদের সমাবেশ, মানববন্ধন ও ভার্চ্যুয়াল প্রোগ্রামে অংশ নেন। পরে তারা এসব ছবি ব্যবহার করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়।


বিএনপির নামে ভর করে গড়ে ওঠা ভুইফোঁড় সংগঠনের নেতারা একবার উড়ো চিঠিতে দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দিয়েছিলেন। বিএনপির এসব ভূঁইফোড় সংগঠনের নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে একাধিকবার সংবাদপত্রে বিশেষ সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে।


বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দলটির রাজনীতির ছায়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছিল ভুইফোড় সংগঠন। সংগঠনগুলো দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও জাতীয়তাবাদের নাম ব্যবহার করে গড়ে উঠেছিল। এক পর্যায়ে এসব সংগঠনের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে যায়। দলের বিভিন্ন ইস্যুতে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে তারা।


সভা-সমাবেশের নামে অর্থ আয় করা, দলীয় নেতাদের কাছে গুরুত্ব পাওয়া এবং বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় এলে লাভবান হওয়ার চিন্তা থেকেই সংগঠনগুলো তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে। এর পেছনে দলটির কিছু কেন্দ্রীয় নেতারও ভূমিকা রয়েছে।


বিএনপির গঠনতন্ত্রে ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। এর বাইরে আর কোনো সংগঠনের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা নেই বলে একাধিকবার গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে দলটির দফতর থেকে। দলীয় অনুমোদিত ১১টি সংগঠন হচ্ছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল।


অনুসন্ধানে দেখা যায়, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল, সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ, জিয়া সেনা, স্বদেশ জাগরণ পরিষদ, দেশনেত্রী সাংস্কৃতিক পরিষদ, দেশপ্রেমিক ফোরাম, জিয়া স্মৃতি সংসদ, জিয়া নাগরিক ফোরাম, জিয়া আদর্শ একাডেমী, তৃণমূল দল, জিয়া পরিষদ, জিয়া ব্রিগেড, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেবা দল, জাতীয়তাবাদী বন্ধুদল, জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল, প্রতিবাদী নাগরিক দল, জাতীয়তাবাদী চালক দল, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক যুব দল, যুব মহিলা দল, খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ, তারেক রহমান মুক্তি পরিষদ, তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সংগ্রাম পরিষদ, শহীদ জিয়াউর রহমান আদর্শ বাস্তবায়ন পরিষদ, জাতীয়তাবাদী কৃষি আন্দোলন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক একাডেমী, সম্মিলিত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল, জাতীয়তাবাদী সাইবার দল, জিয়ার সেনা, স্বদেশ জাগরণ, দেশনেত্রী সাংস্কৃতিক, দেশপ্রেমিক ফোরাম, জিয়া স্মৃতি সংসদ, চেতনায় ৭১, সচেতন নাগরিক, চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা, আমরা-৭১, জাগ্রত জনতা ফোরাম, আমাদের কথা নাগরিক পরিষদ, গণমুক্তি আন্দোলন পরিষদ, বাসাস, নাগরিক অধিকার সোসাইটি, গণতান্ত্রিক ঐক্য ফোরাম, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট সমন্বয়কারী, প্রজন্ম একাডেমী, নাগরিক সংসদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলন, ভয়েস অব বাংলাদেশ, সুশীল ফোরাম, নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ, চিরন্তন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার, হৃদয়ে বাংলাদশ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম জিয়া পরিষদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম, জিয়া ব্রিগড, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস), তৃতীয় স্বর, দেশপ্রেমিক যুবশক্তি, দেশপ্রেমিক যুব শক্তি, নাগরিক ফোরাম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট, সচেতন নাগরিক পরিষদ, গ্রুপ-৯, স্বাধীনতা ফোরাম, আমরা ঢাকাবাসী, বাংলাদেশ সচেতন যুব সমাজ, সচেতন দেশপ্রেমিক ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, সামাজিক আন্দোলন সংস্থা, নর্থ বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল গণতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, সচেতন যুব সমাজ, স্বদেশ মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী নবীন দল, জাতীয়তাবাদী যুব ঐক্য দল, জাতীয়তাবাদী প্রযুক্তি দল, তারেক পরিষদ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন, শহীদ জিয়া ছাত্র পরিষদ, জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদ, শহীদ জিয়ার আদর্শ দল, জাতীয়তাবাদী তরুণ প্রজন্ম দলসহ প্রায় শতাধিক সংগঠন রয়েছে।


যদিও বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর এদের কার্যক্রম কিছুটা হ্রাস পায়। তবে অধিকাংশ সংগঠনই রয়েছে সক্রিয়। আন্দোলন-সংগ্রামেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে তারা। জাতীয় কাউন্সিল ও অঙ্গ সংগঠন থেকে বাদ পড়লেই বাদ পড়ারা একটি করে ভূঁইফোড় সংগঠনের জন্ম দেন। আর বিভেদ সৃষ্টি করে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাথে। কেন্দ্র থেকে একাধিকবার ভূঁইফোড় সংগঠনগুলোকে সর্তক করা হলেও কর্ণপাত করেননি সংগঠনের কর্ণধাররা। বরং সেইসব ভুইফোড় সংগঠনের ব্যানারে সভা, সেমিনার ও মানববন্ধনে বিএনপির অনেক শীর্ষনেতাদেরও অংশ নিতে দেখা গেছে।


বিএনপির সমর্থক সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠা প্যাডসর্বস্ব ভুঁইফোড় সংগঠনগুলোর তৎপরতা মূলত জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ও সামনের সড়কে এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কেন্দ্রিক। এদের বিভিন্ন বিষয়ে মানববন্ধন, সমাবেশ ও সেমিনারের আয়োজন করতে দেখা যায়।


চলতি বছরের শুরুতে 'জিয়া সাইবার ফোর্স' নামের একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের মেধাবী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে খোদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তার কিছুদিন আগে 'জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল' আয়োজিত এক সভায়ও বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল। এছাড়া এসব ভুইফোড় সংগঠনের স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেখা যায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে সেখানেও বিএনপির অনেক শীর্ষনেতারা উপস্থিত থাকেন। যে কারণে এসব সংগঠনগুলোকে বারংবার সর্তক করলেও দলের সিনিয়র নেতাদের প্রশ্রয়ে আবারও সরব হয়ে ওঠে।


এদিকে দেখা গেছে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা সরাসরি এসব ভুইফোড় সংগঠনের নেতৃত্বে আছেন। জিয়া মঞ্চ ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের দায়িত্বে আছেন সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ। জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা, সাবেক কমিশনার মো. হারুণ আর রশিদ। বিএনপির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাছের রহমতুল্লাহ দায়িত্বে আছে স্বাধীনতা নাগরিক ফোরামের। জেড ফোর্সের সভাপতি হলেন জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর শিকদার। এছাড়া জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দলের দায়িত্বে আবু হানিফ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলে হুমায়ুন কবির বেপারী, জাতীয়তাবাদী নবীন দল মাসুদ হোসেন, জিসাসে মিয়া আনোয়ার, তারেক পরিষদে মেজর অব. হানিফ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের দায়িত্বে রয়েছেন রাকিবুল হোসেন রিপন।


এদের মধ্যে অনেক সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, তাদের সংগঠনের পরিধি উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত।


জিয়া সেনার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিটন বিবার্তাকে বলেন, এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন বিএনপির সাবেক শীর্ষনেতা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সহধর্মিনী। লিটন বলেন, বিএনপি একটি সমুদ্রের মত। এত নেতাকর্মীদের পদপদবী দেয়ার সুযোগ নেই। তাই জিয়াভক্ত বিএনপি সমর্থিতদের কমিটিতে জায়গা দেয়ার জন্যই জিয়া সেনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল প্রসঙ্গে শ্যামা ওবায়েদ বিবার্তাকে বলেন, এটি সৃষ্টি হয়েছে আজ প্রায় ১৮ বছর। কর্নেল অলি সাহেবের হাত ধরে এই সংগঠনের বহিঃপ্রকাশ। এটি ভুঁইফোড় সংগঠন নয়। সারাদেশে এর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সংগঠন রয়েছে। দলের প্রতিটি বিপর্যয়ের সময় সবসময় রাজপথে সরব থাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল।


এ বিযয়ে বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিবার্তাকে বলেন, ভুঁইফোড় সংগঠন বলতে আমাদের কিছু নেই। আমাদের গঠনতন্ত্রের বাইরে যেসব সংগঠন বিএনপির নাম ব্যবহার করছে, তাদের বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের আমরা সর্তক থাকতে বলেছি। তবে, ক্ষমতাসীনদের ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো যেভাবে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত আমাদের অনুমোদনবিহীন এসব সংগঠনের নেতারা তা করেন না। যদিও জিয়া পরিবার ও বিএনপির নামে যারা সংগঠন খুলেছেন তাদের আমরা প্রশ্রয় দেই না। তারপরও তাদের বিষয়ে কোনো অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভুঁইফোড় ও নামসর্বস্ব সংগঠন নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।


সার্বিক বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবার্তাকে বলেন, আমাদের কোনো ভুঁইফোড় বা নামসর্বস্ব সংগঠন নেই। যারা এসব করছেন তারা নিজ উদ্যোগে ও স্বেচ্ছায় করছেন। এদের সাথে বিএনপির কেনো সম্পর্ক নেই। তাদের কর্মকাণ্ডের দায়ভার আমাদের নয়।


বিবার্তা/বিপ্লব/আরকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com