
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নাগরিক হয়রানির ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলার ভয়ে আজ জাতির কণ্ঠ রুদ্ধ। বিবেকের স্বাধীনতা শৃঙ্খলিত, যা সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাগুলোর মূল অভিযোগ হলো ব্যক্তির মানহানি, আক্রমণাত্মক মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শন কিংবা রাষ্ট্রের তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ করা, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা।
তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, এই সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা প্রতিনিয়ত কীভাবে বিরোধীদলীয় কিংবা ভিন্নমতাবলম্বীদের সম্মানহানি করছে। কীভাবে আক্রমণাত্মকভাবে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করছে। কীভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ছয় মাসে ১২ জন সাংবাদিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জন্য সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের সুনাম আজ বিশ্বদরবারে দুর্নীতির সূচকের তলানিতে। এ সরকারের নেতা-কর্মীদের করোনা সার্টিফিকেট বিক্রির কারণে ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কোনো ব্যক্তিকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। নিউইয়র্ক টাইমসে নেতিবাচক প্রবন্ধ হয় বাংলাদেশকে নিয়ে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শীর্ষ দেশগুলোয় বাংলাদেশ উঠে আসে।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, জনসাধারণের মনোজগতে ভীতি সৃষ্টি করাই হচ্ছে ফ্যাসিবাদের চরিত্র। সেটিই করা হয়েছে ইতিমধ্যে। যে কারণে একসময় গণমাধ্যমের যাঁরা সাহসী উচ্চারণ করতেন, তাঁরা এখন থেমে গেছেন। এর প্রভাব পড়েছে জনসাধারণের মধ্যেও। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের একটি সিনেমার নাম উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, হয়রানির প্রথম আক্রমণ মনোজগতেই যায়। এটি মগজ ধোলাইয়ের একটি প্রক্রিয়া।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও আইসিটি আইনের উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিএনপি শুরু থেকেই বলে এসেছে, এই আইন কালো আইন। এই আইন সংবিধানবিরোধী। এই আইন জনগণের কণ্ঠ রোধ করার জন্য সরকারের হাতিয়ার। সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই আইন করেছে।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]