
কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও চলমান কারফিউয়ের কারণে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে দেখা যায়, চারদিকে সুনসান নীরবতা। ব্যস্ততা নেই সৈকতের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক-ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়াওয়ালাদের। একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। হোটেল গুলোতে তালা ঝুলছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, গেল এক সপ্তাহে কক্সবাজারের পর্যটনের সবখাতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাবে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক বেকার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, চলমান কারফিউ ও কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে অস্থিরতায় কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজার পর্যটন শিল্প। কক্সবাজারে সাড়ে ৪শ হোটেলে ও গেস্ট হাউসে ৭দিনে ১শ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি রেস্তোরাঁ অন্যান্য গুলোতে ৫০ কোটি টাকা। এভাবেই চলতে থাকলে অনেক হোটেল শ্রমিক তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে পারে।
কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, প্রতিদিন কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এই মুহূর্তেকক্সবাজারে পর্যটক নেই। যা ছিল গতকাল সেনাবাহিনীর পাহারায় ৭১টি বাসে করে ফিরে গেছে। দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রায় সব হোটেল-মোটেল বন্ধ হয়ে যাবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, কক্সবাজার এই মুহূর্তে তেমন পর্যটক নেই। যারা কক্সবাজার ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছিল তাদের গতকাল সেনাবাহিনীর পাহারায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]