
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব শুরু হওয়ার পর থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা কম ছিল। রেমাল চলে গেলেও রেখে গেছে ক্ষত। তবুও সৈকতে গতকাল থেকেই কিছু পর্যটকদের আনাগোনা দেখা গেছে।
শুক্রবার (৩১ মে) গতকালের চেয়ে কিছুটা বাড়ছে পর্যটকের পরিমাণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কিছু পর্যটক সৈকতে পায়চারি করছেন। কেউবা আবার সৈকতে বসে আনন্দ উপভোগ করছেন। অনেকই আবার সাগরে গোসল করছেন।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সৈকত লাগোয়া দোকান ভেঙে চুড়ে তছনছ হয়ে সৈকতের সৌন্দর্য বিলীন হয়েছে। সৈকত বিলীন হয়েছে প্রায় ১ কিমি।
যে জায়গায় আগে সাজানো গোছানো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল সেটি এখন কেবলই স্মৃতি। যে কোনো দুর্যোগের কবলে সৈকতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। ঘুরে দাঁড়াতে সময় লেগে যায়। ততক্ষণে মূলধন হারিয়ে ঋণের ফাঁদে পড়তে হয় এ সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস বলেন, দোকান পাট সব শেষ। নতুন করে সাজাতে আবার ঋণ করে ব্যবসা শুরু করতে হবে।
কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)'র সেক্রেটারি কে এম জহির বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে পর্যটক শূন্যের কোটায় ছিল। গতকাল থেকে কিছু পর্যটক আশা শুরু করছে। আস্তে আস্তে এটা বৃদ্ধি পাবে।
হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মো. মোতালেব শরীফ বলেন, যে কোনো সমস্যা শুরু হলেই ধাক্কা আসে পর্যটনের ওপর। গত সপ্তাহের ধাক্কা কেটে উঠতে আবারও অনেকদিন লেগে যাবে। পর্যটক আসতে শুরু করেছে। গত দুইদিন ধরে বাড়তে শুরু করেছে। এটি দিন যত যাবে ততই বাড়বে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]