কৃত্রিম চাঁদের ভেতর একটি রিসোর্ট। সেই হোটেলে থাকবে চার হাজারের মতো কক্ষ। ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা। বাইরে নৈশক্লাব ও চিকিৎসাকেন্দ্র।
সেই কৃত্রিম চাঁদের ভেতর ‘লুনার কলোনি’ নামে একটি বিশেষ এলাকা থাকবে, সেখানে চাঁদে হাঁটার অনুভূতি পাওয়া যাবে। রাতে এই কৃত্রিম চাঁদ আসল চাঁদের মতো উজ্জ্বলতা ছড়াবে। কখনো কখনো পূর্ণ চন্দ্র বা অর্ধচন্দ্রের মতো অভিজ্ঞতাও পাওয়া যাবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর অত্যাধুনিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। এবার সেখানে তৈরি হতে যাচ্ছে চাঁদসদৃশ এই বিশাল স্থাপনা। এ জন্য খরচ হবে ৪২ হাজার ৮১০ কোটি টাকার বেশি।
দুবাই শহরের একটি রিসোর্ট কোম্পানি তাঁদের আকাশচুম্বী ভবনের ওপর বিশাল আকারের চাঁদসদৃশ ওই স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা করেছে।
দুবাইয়ের ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কানাডার উদ্যোক্তা মাইকেল হেন্ডারসন। তিনি প্রকল্পটির সহপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁর এ প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুন’। পর্যটনের বিষয়টি মাথায় রেখে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকেরা কৃত্রিম উপগ্রহে যাওয়ার অনুভূতি পাবেন।
প্রকল্পের উদ্যোক্তারা আশা করছেন, বছরে এই কৃত্রিম চাঁদ দেখতে ২৫ লাখ পর্যটক আসবেন। এখান থেকে প্রতিবছর ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি আয় হবে তাঁদের। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিনিয়োগ করছে মুন ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট।
উদ্যোক্তা হেন্ডারসন বলেন, বিশ্বে আমাদের বড় বড় ব্র্যান্ড রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ আমাদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানেন। অবশ্য আমরা এখনো প্রকল্পের কাজ শুরু করিনি।
এই প্রকল্পের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা সান্দ্রা জি ম্যাথিউস বলেন, পর্যটনসহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে নানা দিক থেকে এটি প্রভাব ফেলবে।
সান্দ্রা জি ম্যাথিউস ও হেন্ডারসন বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের বৃহত্তম পর্যটন ও আধুনিককালের সফল পর্যটন প্রকল্প হতে যাচ্ছে এটি। এতে দুবাইয়ে পর্যটকসংখ্যা দ্বিগুণ হবে ও বৈশ্বিক আবেদন বাড়বে।
সূত্র : দ্য মিরর
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]