
ভারতের খাজ্জিয়ার নামক স্থান ‘বাংলার সুইজারল্যান্ড’ নামে বিশেষ খ্যাত।
আপনি যদি গ্রীষ্মে প্যারাগ্লাইডিং ও ট্রেকিং উপভোগ করতে চান তবে খাজ্জিয়ার সেরা জায়গা। এখানে পর্যটকরা কালাতপ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যেও যেতে পারেন, যেখানে অনেক প্রজাতির প্রাণী ও পাখি দেখা যায়।
খাজ্জিয়ারে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় করেণ। সেখানকার সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। প্রকৃতির বিস্ময়কর দৃশ্যের জন্য, খাজ্জিয়ার পর্যটকদের হৃদয় ও মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নেয়। সেখানকার দূর-দূরান্তের তৃণভূমি পর্যটকদের নিয়ে যায় স্বর্গ ভ্রমণে।
খাজ্জিয়ার মূলত হিমাচল প্রদেশের চাম্বাতে অবস্থিত। স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এ কারণেই স্থানটিকে সুইজারল্যান্ড বলা হয়। সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য, পাহাড়ের উপর মেঘ ও নীল আকাশ এই জায়গাটি দেখলে আপনি অবশ্যই মুগ্ধ হবেন।
ধারণা করা হয়, খাজ্জিয়ার নামটি খাজ্জি নাগা মন্দির থেকে এসেছে। এই প্রাচীন মন্দির দশম শতাব্দীর। ঘোরাঘুরি করার সময় এই মন্দির দেখতে পারেন। এখানে প্যারাগ্লাইডিং ও ট্রেকিংও উপভোগ করতে পারেন।
পর্যটকরা সেখানে গিয়ে খাজ্জিয়ার লেক দর্শন করতে ভুলেন না। জানলে অবাক হবেন, রহস্যময় কৈলাশ পর্বতের দৃশ্যও খাজ্জিয়ার থেকে দেখতে পারবেন।
খাজ্জিয়ার কাছে শিবের একটি বিশাল ৮৫ ফুট মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে। খাজ্জিয়ার থেকে ডালহৌসির দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। চাইলে সেখান থেকেই ঘুরে আসতে পারেন।
খাজ্জিয়ারে কীভাবে যাবেন?
আকাশপথে- ধর্মশালার গাগ্গাল বিমানবন্দরটি ১২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ও এটি নিকটতম বিমানবন্দরও। চণ্ডীগড়, দিল্লি ও কুল্লু থেকে গাগ্গাল বিমানবন্দর পর্যন্ত ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করে।
ট্রেনে- পাঠানকোট ১১৮ কিমি দূরত্বের নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন। আহমেদাবাদ, ভাটিন্ডা, দিল্লি, হাতিয়া, জম্মু, উধমপুর ইত্যাদি থেকে পাঠানকোট পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন চলে। পাঠানকোট থেকে খাজ্জিয়ার পর্যন্ত ট্যাক্সি পাওয়া যায়।
সড়কপথে- খাজ্জিয়ার হিমাচল প্রদেশের সমস্ত প্রধান স্থানের সঙ্গে সড়কপথে ভালোভাবে সংযুক্ত। সিমলা, চাম্বা ও ডালহৌসি থেকে খাজ্জিয়ার যাওয়ার জন্য নিয়মিত গণপরিবহন চলাচল করে।
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]