এশিয়ান সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ এডুকেশন (এসিআইই), বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ৫ম ‘একীভূত শিক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন’। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করে দেশটির অমর জ্যোতি চ্যারিটেবল ট্রাষ্ট।

একীভূত শিক্ষার মাধ্যমে উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে সম্মলনে এবারের থিম ছিল 'Fostering Excellence through Inclusive Education'।

সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশের প্রতিনিধিসহ ৩৫০ জন অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে ১২৬টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

সম্মেলনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা অধিকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিতকরণ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একীভূত শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তকরণের উপায় ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান বৈশ্বিক শিক্ষাব্যবস্থা রূপান্তরে কী পরিবর্তন প্রয়োজন, তা সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভেদাকার এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মিনিস্ট্রি অব সোশ্যাল জাস্টিস এন্ড এম্পায়ারমেন্ট মন্ত্রী ড. থাওয়ার চাঁদ গেহলত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসিআইইয়ের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. তারিক আহসান বক্তব্য দেন। পাশাপাশি একটি সেশনে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবেও বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া এসিআইইয়ের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য ইকবাল হোসেন আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে একটি সেশনে বক্তব্য দেন। এর বাইরে এসিআইইয়ের নিজস্ব প্রোগ্রাম এবং গবেষণার উপর একাধিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

ইউনেস্কো-ঢাকা অফিস, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সিবিএম ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ব্র্যাক, সিডিডি, ডিআরআর, হিউম্যানিটি এন্ড ইনক্লুলুশন বাংলাদেশ, এসিআইই সদস্য এবং প্রোগ্রাম স্টাফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩০ জনের একটি দল এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এই আয়োজনে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর তাহমিনা আক্তার এবং রাইটস এক্টিভিস্ট মনসুর আহমেদ চৌধুরী আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সেশনের চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেন।

বিবার্তা/বিজ্ঞপ্তি/কামরুল