সুমন হোসেন। পেশায় দিনমজুর। এমনিতেই অভাবের সংসার। ঘর নির্মাণ করে চলছিল তার সংসারের চাকা। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আগের মতো কাজ-কর্ম নেই। তারপরও পরিবার নিয়ে কোনোমতে দিন চলছিল সুমনের। কিন্তু হঠাৎ করেই সুমনের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ তার একমাত্র মেয়ে মোছা. মেহেরিমা খাতুনের (৩)হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেহেরিমা খাতুনকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন ৪ লাখ টাকা। কিন্তু যেখানে দুবেলা দুমোঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাই কঠিন সেখানে মেয়েকে বাঁচাতে ৪ লাখ টাকা কোথায় পাবেন সুমন? এই অবস্থায় চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। অর্থের অভাবে তিনি মেয়েকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে পারছেন না। তাই মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, যশোরের কোতোয়ালি থানার ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমন আহমেদ। তিনি স্ত্রী তাইপা বেগম ও তিন বছরের মেয়ে মেহেরিমা খাতুনকে নিয়েই বসবাস করছিলেন। কিন্তু মেহেরিমা খাতুন সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবার তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকার জাতীয় কিডনী ইনষ্টিটিউট এবং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে মেহেরিমাকে জাতীয় হৃদরোগ ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা জানান, দ্রুত হার্ট ও কিডনির অপারেশন করা হবে। তবে এটা বাংলাদেশে করা সম্ভব না। তাই ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের পরামর্শে ভারত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুমন।
তিনি বলেন, অনেক কষ্টে ভারতের একটি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ভিসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে ভারত যাওয়া লাগবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত টাকার ব্যবস্থা হয়নি। কিন্তু আমি এত টাকা কোথায় পাবো? সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো আমার মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবো।
কেউ সহায়তা পাঠাতে চাইলে এই নম্বরে (বিকাশ) যোগাযোগ করতে পারেন : বিকাশঃ 01779826671, নগদঃ 01779826671। ডাচ-বাংলা ব্যাংকঃ 1481050151710।
বিবার্তা/খলিল/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]