বাবার গ্যারেজকে বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত গেমিং জোন।আর তাতেই দিনে ১০ ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলে লাখপতি ফিলাডেলফিয়া তরুণ অ্যালেক্স বেনাবে। জনপ্রিয় ভিডিও গেম ফোর্ট নাইট খেলে এক বছরে ১৭ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছেন অ্যালেক্স। ইউএস ডলারের নিরিখে যা ২ লাখ।
দা মিররের এক প্রতিবেদন দাবি করেছে, অ্যালেক্স ও তার বাবা গ্যারেজকে হাইটেক গেমিং সেন্টার বানানোর পাশাপাশি সাতটি মনিটর বসিয়েছেন। জানা গেছে, 'ডেস্ট্রয়ার' নামে ওই তরুণ ফোর্ট নাইট খেলেন।একমাসে অনায়াসে তিনি ৭ থেকে ১০ হাজার পাউন্ড কামিয়ে নিতে পারেন। টুইচ নামক লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সেই গেম খেলেন অ্যালেক্স।ভার্চুয়াল স্টেডিয়ামের লাইভ অডিয়েন্সের সামনে খেলে গ্যামিং সফটওয়্যার সংস্থা থেকে চুক্তির ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করেন তিনি।
লাডবাইবেলকে ওই তরুণ বলেন, ‘সাত বছর বয়স থেকে আমি ভিডিও গেম খেলছি। সত্যি কথা বলতে আমার কোনো প্ল্যান-বি নেই। কোনো কোনো দিন ৮ ঘণ্টা খেলি। আবার ১২ ঘণ্টাও খেলি।’ তিনি আরো বলেন, তার সর্বাধিক সময় ৩৭ ঘণ্টা। সেনার ক্যামেরা চালু রেখে খেতাম আর প্রয়োজন পড়লে শৌচাগার যেতাম। এই পেশাকে দত্তক নেয়ার পরে কিছু শারীরিক অসুবিধা তাকে গ্রাস করেছে।
অ্যালেক্স বলেন, ‘যখন পিঠে বা কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, তখন চেয়ারে বসে খেলা শুরু করে দিই।’ সপ্তাহে ৪-৫ দিন জিমেও যেতে হয় তাকে, জানিয়েছেন ওই তরুণ।
এর আগে তার হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার হতো। গেম খেলে খেলে, সে সমস্যা দূরে হয়েছে, দাবি করেছেন ওই তরুণ। ‘আগে আমি প্রায় মাথা গরম করে ফেলতাম, বচসায় জড়িয়ে পড়তাম। নিজের প্রতি কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকতো না। অকারণে মাথা গরম করে ফেলতাম। গেম নজর দেয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করেছে।’ এদিন এমনটাই বলেন অ্যালেক্স।
তার দাবি, ‘আগে আমাকে ওষুধের ওপর থাকতে হতো। কিন্তু গেমে মনোসংযোগ সেই নির্ভরতা দূর করিয়েছে। এমনকি এখন আমি সেভাবে বাইরেও যাই না। অত্যন্ত দূষিত শহর ফিলাডেলফিয়া। তাই ঘরে থেকে আমি ভুল বন্ধু নির্বাচন থেকে দূরে থাকি।’
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]