ঐতিহাসিক ২৩ মার্চ পতাকা দিবস
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৪
ঐতিহাসিক ২৩ মার্চ পতাকা দিবস
নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট অ-অ+

২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন দিবস, এটা ইতিহাস স্বীকৃত বাস্তব। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, এই পতাকাটি যতদিন আপন মহিমায় গৌরবদীপ্ত ভঙ্গিমায় বাঙালির সুতীব্র আবেগের আবীর মাখিয়ে উড্ডীয়মান থাকবে- ততদিন দিগন্তবিস্তীর্ণ আকাশের বক্ষে প্রদীপ্ত সূর্যের মতো শাশ্বত এবং স্মরণীয় থাকবে। ওইদিন ইসলামাবাদে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি এবং পূর্ব পাকিস্তানে গভর্নর উড্ডীয়মান পাকিস্তানের পতাকাখচিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে সামরিক অভিবাদন গ্রহণ করতেন। এই দিনটিতেই আমরা পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের নির্দেশনা প্রদান করি।


১৯৭১ সালের আগ পর্যন্ত ২৩ মার্চ উদযাপিত হতো পাকিস্তান দিবস বা লাহোর প্রস্তাব দিবস হিসেবে। এদিন পাকিস্তানের পতাকায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকত রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, দোকানপাট সব। যেদিকে তাকাতাম, চাঁদ-তারা আর চাঁদ-তারা। মনে হতো যেন রাত ঘনিয়ে এসেছে চতুর্দিকে। এই বছরই, সম্ভবত মার্চ মাসের ১৮/১৯ তারিখ জনাব আবদুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে, অর্থাৎ তৎকালীন ছাত্রলীগের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর নয়, এবার পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পতাকা উঠবে। প্রতিটি যানবাহনে, ভবনে, সমস্ত কার্যালয়ে, উচ্চ আদালতে উত্তোলিত হবে ওই পতাকা। এই নির্দেশনার আলোকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পূর্বঘোষিত ও সুস্পষ্ট পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পতাকা উত্তোলন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।



এটা প্রদীপ্ত সূর্যের মতো সত্য যে, শুধু পল্টনেই নয়, সমগ্র দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও মহকুমা শহরেও ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ডাকে একযোগে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা উত্তোলিত হয় এদিন। কেবলমাত্র ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরের খণ্ডিত অবাঙালি অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকা ছাড়া সব জায়গা থেকে পাকিস্তানের শেষ চিহ্নটি অবলুপ্ত করে দেয়া হয়। 



এর আগেরদিন ২২ মার্চ গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত বিবৃতি প্রদান করি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে (পূর্বের ইকবাল হল) স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নিয়ন্ত্রন কক্ষ ছিল বলেই প্রায় সার্বক্ষণিক দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকতো। এটা নতুন প্রজন্মের অবগতির জন্য উল্লেখ্য যে, আমাদের আন্দোলনের মূল স্থপতি বঙ্গবন্ধু ছিলেন এবং ২৩ মার্চ তারই অভিবাদন গ্রহণ করা বাহ্যত সঙ্গত ছিল কিন্তু সেটি হয়নি। কেননা, তিনি ওইদিন অভিবাদন গ্রহণ করলে ঘুরেফিরে বিচ্ছিন্নতাবাদের অপবাদটি তার স্কন্ধে বর্তাতো। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃ-চতুষ্টয়ের অভিবাদন গ্রহণ সন্দেহাতীতভাবে আবারো প্রমাণ করলো আমাদের প্রাণের মুজিব ভাই, স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মননশীলতা ও মানসিকতা, প্রতীতি ও প্রত্যয়, আদর্শ ও চেতনা তো বটেই; ক্ষেত্রবিশেষে তাঁর অবয়বেরও প্রতিনিধিত্ব করতো স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। বলাবাহুল্য, এসব সিদ্ধান্ত একমাত্র বঙ্গবন্ধুর সম্মতিতেই আমরা গ্রহণ করতাম।


পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নির্দেশে সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকাটি সগৌরবে উড়িয়ে দেয় এদেশের স্বাধীনতা-পাগল মানুষ। আনুষ্ঠানিকভাবে পল্টন ময়দানে আমরা চারজন মঞ্চে দাঁড়াই অভিবাদন গ্রহণের জন্য এবং খসরু, মন্টু, সেলিম এবং হাসানুল হক ইনুও সঙ্গে ছিলেন। বিউগলে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের সুর ভেসে আসছে। ধীরে ধীরে পতাকাটি উড়লো আর শুরু হলো একেকটি ব্রিগেডের অভিবাদন দেয়ার অভিযাত্রা। ৩০৩ রাইফেল থেকে উপর্যুপরি আকাশের দিকে গুলিবর্ষণ হতে লাগলো। তখন আউটার স্টেডিয়ামটি ছিল না। যতদূর চোখ যায়, সীমাহীন সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত উর্মিমালার মতো মানুষ আর মানুষ। কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা ওই ব্রিগেড ও স্বতস্ফূর্ত জনতাকে নিয়ে মার্চপাস্ট করে ৩২ নম্বরে গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে পতাকাটি তুলে দিই। পতাকাটি গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি উচ্চারণ করেন। আমি হৃদয় দিয়ে অনুভব করছিলাম, আমার চিত্ত উদ্বেলিত হয়েছিল, উদ্যত উদ্গত উদ্ধত পূর্ণায়ত পদ্মটির মতো আমার সমস্ত সত্তা দুরন্ত আবেগে অনুভব করছিল-  লক্ষ জনতার কণ্ঠ হতে জয় বাংলা স্লোগানটি ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয়ে ইথারে ভাসতে ভাসতে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।   



আজকে যারা সুপরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতা অর্জনের আন্দোলনের ইতিহাসকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেতভাবে বিকৃত করার অপচেষ্টায় ব্যাপৃত, তাদের এই অভিলাষ এবং অভিপ্রায়ের প্রেক্ষিতে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে ২৩ মার্চের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে চাই। বাঙালির জাতীয় চেতনার উন্মেষ, বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার আন্দোলনের সোপানগুলোয় ছাত্রলীগই একেকটি আন্দোলনের সফলতার মধ্য দিয়ে এর ব্যাপ্তি ও বিকাশ ঘটিয়েছে। প্রতিটি স্তরের জাগ্রত জনতার মানসিকতায়, তাদের হৃদয়ের ক্যানভাসে বাঙালি সত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে শুধু হাল ধরা নয়, ক্রমান্বয়ে তাদেরকে উচ্চারণ করতে হয়েছে-  “তুমি কে, আমি কে? বাঙালি বাঙালি”, “পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা”।



'৬৬-এর ৭ জুন মনু মিয়ার বুকনিঃসৃত রক্তকণা থেকে বাংলাদেশ দৃপ্তশপথে উজ্জীবিত হয়- আজ আর স্বাধিকারের কথা নয়, আমরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা চাই এবং তারই সনদ ৬ দফা। অতি সংক্ষেপে বিবৃত করা যায়, মুজিব ভাই থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের প্রায় সকল শীর্ষ নেতাকে এবং ছাত্রলীগের শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক, আল মুজাহিদীকে দেশরক্ষা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌভাগ্য আমার, '৬৬-এর ৭ জুনের পর গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রনেতৃবৃন্দের মধ্যে আমিই ছিলাম প্রথম। পরে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে  আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হয়। ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলটি বের করে জগন্নাথ কলেজ। সঙ্গে তখনকার কায়েদে আযম কলেজ। এই বিশাল দৃপ্ত মিছিলের নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সর্বজনাব কাজী ফিরোজ, এম এ রেজা, সাইফুদ্দিন, মফিজ, ছাত্র ইউনিয়নের ইয়াকুব। যার ফলশ্রুতিতে তারাও সকলে কারারুদ্ধ হন। বিস্তৃত বিবরণে না গিয়ে বলতে হয়, দীর্ঘদিন পর '৬৯-এর গণ-আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২৪ জানুয়ারি গণ-অভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়। যখন ঢাকা শহর আগ্নেয়গিরির গলিত লাভার মতো বিস্ফোরিত হয়, তখন লৌহমানবখ্যাত আইয়ুব খানকে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করতে হয়। '৬৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখ আমরা মুক্তি পাই। বঙ্গবন্ধু অবমুক্ত হন ২১ তারিখে। ১১ দফার সংগ্রাম কমিটি সর্বদলীয় হলেও ডাকসু’র ভিপি তোফায়েল আহমেদই সংগ্রাম কমিটির মুখপাত্র হিসেবে কার্য পরিচালনার গৌরব অর্জন করেছেন। ১১ দফায় ৬ দফাকে সম্পূর্ণ অবিকৃত রেখে সম্পৃক্ত করার কৃতিত্বও ছাত্রলীগ নেতৃত্বের। 


কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে দেখলাম, বাঙালি জাতীয় চেতনার একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগেও সশস্ত্র বিপ্লবের মননশীলতায় একটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তারা কার্ল মার্ক্স, লেনিন, স্ট্যালিন, চে গুয়েভারাকেও যেন ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাদের চেতনার ধ্রুবতারা ছিল রেজিস দেব্রে। তিনি বিশ্বাস করতেন, বিপ্লবের মধ্যে বিপ্লব (revolution within revolution)। রেজিস দেব্রে বিশ্বাস করতেন, সশস্ত্র বিপ্লব কখনো থেমে থাকে না। সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত তরঙ্গমালার মতো একটি তরঙ্গ ধ্বংসের মধ্য দিয়ে আরেকটি তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই মননশীলতায় বিশ্বাসীদের কাছে নির্বাচন অর্থহীন এবং হাস্যকর। '৭০-এর নির্বাচনকে তারা পাত্তাই দিতে চাননি। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর’-  এটিই ছিল তাদের চিন্তার প্রতিপাদ্য। তাদের স্লোগান ছিল- ‘বাংলার অপর নাম, ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম’, ‘বিপ্লব বিপ্লব, সশস্ত্র বিপ্লব’ ‘নির্বাচনের কথা বলে যারা, ইয়াহিয়া খানের দালাল তারা’, ‘ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর”।



'৭০-এর নির্বাচন বঙ্গবন্ধুকে একক নেতৃত্বেই অধিষ্ঠিত করেনি, তাঁকে বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের মূল কর্ণধারের অধিকার প্রদান করে এবং এই লক্ষ্যে যেকোন কর্মসূচি গ্রহণের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা এবং বৈধতা আস্থা ও বিশ্বাসের সাথে ন্যস্ত করে। তখনকার সশস্ত্র বিপ্লবীদের সাথে আমাদের মনস্তাত্বিক চেতনার বিভাজনের বিস্তীর্ণ বিবরণ নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধি করবে।


সারাবিশ্ব জুড়ে যখন সমাজতন্ত্রের উন্মাদনা অগ্নিঝরা সশস্ত্র বিপ্লবের মানসিকতায় উদ্দীপ্ত তরুণ সমাজ, বাংলাদেশেও তখন তরুণ ও যুব সমাজের মধ্যে এই মানসিকতার প্রভাব তুঙ্গে। তার মধ্য থেকে '৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আমার জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সফলতা ও গৌরবময় অর্জন। স্বাধীনতা অর্জনে সশস্ত্র বিপ্লব ও নির্বাচনের প্রশ্নে দুটি ধারা থাকলেও স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশ্নে কোন বিভাজন ছিল না। তাই ৭০-এর নির্বাচনে আমরা নিরঙ্কুশ জয়টি নিতে পেরেছিলাম এবং বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বের একক কর্তৃত্ব লাভ করেছিলেন। এটি আমাদের প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত। তবুও আধিপত্যবাদী পাকিস্তানি শক্তি তাদের আধিপত্য টিকিয়ে রাখার নেশায় নির্বাচনের গণম্যান্ডেট ও বঙ্গবন্ধুর কর্তৃত্বকে মেনে নিতে পারেনি বলেই ৩ মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষিত করে। ১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় এবং ২ মার্চ, ৩ মার্চ, ২৩ মার্চ এবং ২৬ মার্চে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষনা একই ধারাবাহিকতার ফসল। 


আজকের এই দিনে আমার গৌরবের দিকটি উচ্চকিত কণ্ঠে তুলে ধরতে চাই। সংবাদমাধ্যমগুলো যেভাবেই উত্তাল মার্চের দিনগুলোকে তুলে ধরুক না কেন, সূর্যালোকের মতো সত্য যে, বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের নির্দেশকই ছিলেন না, তিনি আমাদের কথা শুনতেন, আমাদের সাথে পরামর্শ করেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করতেন। 


২৩ মার্চকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সকল নেতৃত্বের কাছে আমার আকুতি, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতের যত পার্থক্যই থাকুক না কেন, ছাত্রলীগের গৌরব মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র, ছাত্রলীগকে অবক্ষয়ের অতলান্তে নিক্ষেপ করার অপপ্রয়াসকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যে যার আঙ্গিক থেকে সক্রিয় হয়ে উঠুন।


লেখক : নূরে আলম সিদ্দিকী, স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com