শিরোনাম
ইভিএমে ময়মনসিংহ সিটি ও চার উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু
প্রকাশ : ০৫ মে ২০১৯, ০৯:০২
ইভিএমে ময়মনসিংহ সিটি ও চার উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ দেশের চারটি উপজেলা পরিষদ ও একটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ।মেয়র প্রার্থী এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় ভোট হবে শুধু কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে এটিই প্রথম নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে ২৪২ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলোতে ৭০ জন।


এ নির্বাচনে ১২৭টি কেন্দ্রে ৮৩০ কক্ষের সব কয়টিতে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনে ভোটার শনাক্তের ব্যবস্থাসহ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে মোট দুই হাজার ২৬টি ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।


এ ছাড়া ময়মনসিংহের ত্রিশাল, নীলফামারীর জলঢাকা, কুমিল্লার বরুড়া ও লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। জলঢাকায় শুধু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে। অন্যগুলোতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।


একই সঙ্গে আজ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।


দেশের ১২তম সিটি করপোরেশন ময়মনসিংহে ৩৩টি ওয়ার্ডের আওতায় ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৮ জন। এখানে ভোট হবে শুধু সাধারণ কাউন্সিলরের ৩৩ ও নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১১ পদে।


নির্বাচনে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। ইভিএম থাকবে মোট দুই হাজার ২৬টি। এর আগে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে ওই সময় ইভিএমে ভোটার শনাক্তের ব্যবস্থা ছিল না।


জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আহমেদ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর আর কোনো প্রতিযোগী না থাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক এরই মধ্যে এ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।


নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইভিএম ব্যবহার করে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শনিবার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা এরই মধ্যে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহ করেছেন।


নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানায়, এ নির্বাচনে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও বিজিবির সদস্যসহ ভোটগ্রহণে কারিগরি সহায়তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছেন।


ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার দুই লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪ জন। এর মধ্যে নারী এক লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ এবং পুরুষ এক লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৫। মোট দুই হাজার ৬১৭ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা এ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।


ময়মনসিংহ প্রতিবেদক জানান, এ নির্বাচনে সন্তোষজনক হারে ভোটার উপস্থিতির বিষয়টিই হচ্ছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করেছে। এ ছাড়া মেয়র পদেও ভোট হচ্ছে না। তা ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ।


রিটার্নিং অফিসার মো. আলীমুজ্জামান গতকাল শনিবার বিকেলে বলেন, ‘এখন বৃষ্টি কমে গেছে। আশা করছি রবিবার আবহাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’


প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল, আবু মো. মূসা সরকার ও ডা. বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী। বাছাইয়ে স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষের দিন সরে দাঁড়ান জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এ কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।


এ সিটি নির্বাচন ছাড়াও আজ ময়মনসিংহের ত্রিশাল, নীলফামারীর জলঢাকা (শুধু চেয়ারম্যান পদে), কুমিল্লার বরুড়া, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে।


আজ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাচনও হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে কুতুবদিয়া ও আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাচন হচ্ছে না।


এছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হচ্ছে আজ। নির্বাচনী এলাকাগুলোতে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।


স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুসারে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হচ্ছেন রফিকুল আলম (আ. লীগ), ফারুক ইমরুল কায়েস (আ. লীগ বিদ্রোহী) ও নিগার সুলতানা (জাপা)।


এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত আসনের নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ১০ মার্চ এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে সময় অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।


নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের গত ১০ মার্চের স্থগিত হওয়া নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু (নৌকা প্রতীক) এবং অন্যজন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য সাবেক জলঢাকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর (চিংড়ি মাছ প্রতীক)। গত মার্চে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন। এ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের কারণে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com