শিরোনাম
‘প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়’
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০১৯, ১৩:৫৫
‘প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের একেবারে গ্রামের প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি।


তিনি বলেন, একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। তাদের জীবনটা অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে, উন্নত হবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।


তিনি আরো বলেন, আজকের বাংলাদেশ আমাদের এক দশকের প্রচেষ্টার বাংলাদেশ। আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি এ অর্থবছরে আট ভাগ অর্জন করতে যাচ্ছি। আমাদের মাথাপিছু আয় এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার অর্জন করতে যাচ্ছি।


রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে মানুষের কল্যাণে গৌরবময় ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৩ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ৯ মাসের মধ্যে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন জাতির পিতা। দেশকে সাবলম্বী করাই ছিল তার লক্ষ্য। তার লক্ষ্য ছিল জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশের অর্থনৈতিক দিক উন্নয়ন করা। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।


তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখা হতো না। বাংলাদেশকে দেখা হতো একটি দুর্ভিক্ষ দেশ হিসেবে। যে জাতি রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে সেই দেশকে কেউ যদি অসম্মান করে তাহলে তা কষ্টের কারণ। সেই থেকে আমরা যাতে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে থাকতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।


তিনি আরো বলেন, বর্তমানে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি স্থান করে নিয়েছে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ দুর্ভিক্ষের চোখে দেখে না। আজ বাংলাদেশকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। এটাই আমার সফলতা।


শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল, আমরা লাখো মানুষ হারিয়েছি। কাজেই এ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় সেটার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।


তিনি বলেন, ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ দিবস আমরা আগামীকাল উদযাপন করব। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে এ স্বাধীনতার সুফল পৌঁছাক। যেটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল, স্বপ্ন ছিল।


তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে আমরা স্বাধীনতার পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু ১৫ আগস্ট আমাদের সেই সম্ভাবনা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে আমাদের শিল্প, কলা, সাহিত্য, গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছেন তাদের আমরা স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে পেরেছি, এটা আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। গুণীজনকে আমরা সম্মান দিতে পেরেছি। তবে আমরা জানি এ রকম আরও অনেকজন রয়ে গেছেন, সবাইকে হয়তো আমরা দিতে পারছি না।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর আস্থা ও ভরসা রেখেছে। যার কারণে জনগণের ভোটে আমরা আবারও ক্ষমতায় এসেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, যাবো। বাংলাদেশকে কেউ কখনও দাবায়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না।


তিনি আরো বলেন, সততা ছিলো বলেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এখন বিশ্ববাসীর আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলাদেশ।


দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে স্বীকৃতিদানের তাগিদ দেন তিনি।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com