শিরোনাম
‘দুই সপ্তাহের মধ্যে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরায় আনবো’
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০১৯, ১৮:২৫
‘দুই সপ্তাহের মধ্যে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরায় আনবো’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, চালক আইন মানে না, পথচারী আইন মানে না, আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরায় আনবো ইনশাল্লাহ।


শনিবার সকালে রাজধানীর ডেমরায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক সচেতনতামূলক কার্যক্রমে তিনি এ কথা বলেন।


এসময় তিনি বলেন, চালক আইন মানে না, পথচারী আইন মানে না, আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরায় আনবো ইনশাল্লাহ। তবে এই কাজটি আমাদের একার নয়। মাদক ব্যবসায়ী দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। ঢাকা শহরে কোনো মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। জঙ্গিবাদের ন্যায় মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, পুলিশ আপনার পাশে আছে।


মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি শুধু নিজেই মৃত্যু বরণ করেন। আর মাদক ক্যান্সার ব্যক্তির সাথে সাথে সমাজকে ধ্বংস করে। মাদকের আগ্রাসনের ঝুঁকিতে রয়েছে আপনার আমার সন্তান। ঢাকা মহানগরে মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সাথে যেই জড়িত থাকুক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছি। টিক তেমনি মাদকের নেটওয়ার্কও ছিন্নভিন্ন করে দিব। আমরা জোড় দিয়ে বলতে পারি বাংলাদেশের মাটিতে কোন মাদক ও জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না।


তিনি বলেন, রাজধানীতে যেই মাদকের ব্যবসা করতে দুঃসাহস দেখাবে, তার পরিচয় যাই হোক তাকে বিচারের আওতায় আনা হবে। কোনো পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদকের অর্থদাতা, আশ্রয়দাতা, সহযোগী, গ্রেফতারের পর কোর্ট থেকে জামিনে যারা ছাড়িয়ে আনে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। কঠোর শাস্তি পেতে হবে। যারা মাদকের ব্যবসা করে, সমাজকে নষ্ট করে ও আমাদের সন্তানকে নষ্ট করে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে।


পুলিশ একা মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে না। এজন্য দরকার অভিভাবক ও সমাজের সকলের সহযোগিতা।


মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে তিনটি বিষয় মনে রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান কমিশনার, আপনার সন্তান কি করে, কার সাথে মেলা-মেশা করে, নিজের ঘরে ইন্টারনেটের কোনো সাইটগুলো ব্লাউজ করে তা নিয়মিত দেখার দায়িত্ব অভিভাবকদের, শিক্ষকদের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা টিফিন পিরিয়ডে ও অন্যান্য সময় কি করছে তার দিকে নজরদারী রাখা ও সমাজের জনপ্রতিনিধিগণ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দমন করতে সহযোগিতা করুণ।


সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে আপনারা এগিয়ে এসেছেন। ঠিক সেভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসুন।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম, পিপিএম (বার), সামছুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মোল্লা, সামছুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকবৃন্দ।


বিবার্তা/খলিল/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com