শিরোনাম
ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষ হত্যায় গ্রেফতার ৩
প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:১৩
ইডেনের সাবেক অধ্যক্ষ হত্যায় গ্রেফতার ৩
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নিজ বাসায় ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাশিদা (৫৫), রুমা ওরফে রেশমা (৩০) এবং স্বপ্না (৩৫)। এরমধ্যে রেশমা ও স্বপ্না নিহত মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের গৃহকর্মী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন তারা।


তিনজনকে গ্রেফতরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় নিউমার্কেট থানায় এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।


প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ঢাকা কলেজের সামনের বহুতল ভবন ‘সুকন্যা টাওয়ার’ থেকে মাহফুজা চৌধুরী পারভীনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর তার বাসার দুই গৃহকর্মী পালিয়ে যায়।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মাহফুজা চৌধুরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, শ্বাসরোধে মাহফুজা চৌধুরীকে হত্যা করা হয়েছে। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


পুলিশের ধারণা বাসার দুই গৃহকর্মীসহ অন্যরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। ঘটনার পর থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।


পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার গণমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গৃহকর্মী রেশমা ও স্বপ্না এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে তারা। বাড়িটির নিচতলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে দুই গৃহকর্মী লিফট থেকে নেমে বেরিয়ে যাচ্ছে।


পরদিন মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন তার স্বামী ইসমত কাদের চৌধুরী। মামলার আসামিরা হলো- রূপা ওরফে রেশমা ও স্বপ্না। অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকেও মামলায় আসামি করা হয়।


মাহফুজা চৌধুরীর স্বামী ইসমত কাদির জানান, এলিফ্যান্ট রোডের সুকন্যা টাওয়ারের ১৫ ও ১৬ তলার ডুপেক্স ফ্ল্যাটে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি থাকতেন। তাদের দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। রবিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে যান। ওই সময় বাসায় রেশমা ও স্বপ্নাসহ তিনজন গৃহকর্মী ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় ফিরে ১৬ তলার কলিং বেল চাপলেও কেউ দরজা খুলছিল না। পরে ১৫ তলার কলিং বেল চাপলে বৃদ্ধা গৃহকর্মী দরজা খোলেন। তখন তিনি ১৬ তলায় গিয়ে দেখেন খাটের ওপর মাহফুজার নিথর দেহ পড়ে আছে। লাশ কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল। পাশেই পড়ে ছিল বালিশ।


স্বজনরা জানান, গত মাসেই স্বপ্না ও রেশমা নামে দুইজন গৃহকর্মী এই বাসায় কাজে যোগ দেয়। স্বপ্নার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় আর রেশমার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারি।


বিবার্তা/শান্ত/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com