
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসারদের দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের ধারবাহিকতা রক্ষায় যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম এবং দেশপ্রেমিক নেতত্বের ওপর আস্থাশীল হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আজ রবিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ ২০১৮’এ প্রদত্ত ভাষণে একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি উপলক্ষে ৫ দিনের সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করেছেন। সকালে ঢাকা সেনানিবাসের সদর দপ্তরের কনফারেন্স হলে তিনি এ নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আহবান রেখে সেনাবাহিনীর কর্নেল ও ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বিষয়ক সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ সভার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, একটি সুশৃঙ্খল এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুসংহতকরণে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। যারা সুশিক্ষিত, কর্মক্ষম, সচেতন, বুদ্ধিমান এবং সর্বোপরি গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য দৃঢ় প্রত্যয়ের অধিকারী এরূপ যোগ্য অফিসারদের কাছে নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে।
আদর্শগত ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামরিক বাহিনীর জন্য অত্যন্তমৌলিক এবং মুখ্য বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ন্যস্ত হয় তাদেরই হাতে যারা দেশপ্রেমিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।’
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রতিরক্ষা সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেলারেল মাহফুজুর রহমান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং মেজর জেনারেল পদ মর্যাদার সেনা কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আনন্দিত যে, সেনাবাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য ‘টার্বুলেটেড রেকর্ড এন্ড কমপারেটিভ ইভালুয়েশন (টিআরএসিই)’ এর মত একটি আধুনিক পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছে। যা পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিকের তুলনামূলক মূল্যায়ন প্রকাশ করে।
উপযুক্ত ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই যে কোন বিজয় বা সাফল্য অর্জন সম্ভব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদেরকে বিবেচনায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, তাদের শিক্ষা, মনোভাব, সামাজিকতা, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিরীক্ষা করেই পদোন্নতি প্রদান করতে হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে উন্নত পেশাগত মান ও যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসারদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। পদোন্নতির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা, সততা, বিশ্বস্ততা এবং আনুগত্যের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার সামর্থ আমাদের থাকতে হবে। সূত্র: বাসস
বিবার্তা/শারমিন/শাহনাজ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]