
গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসীর জনজীবন। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর ৫দিন বৃষ্টির খবর জানালেও নেই বৃষ্টির দেখা। সাতসকালেই রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা উঠেছে প্রায় ৩০ ডিগ্রিতে।
শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভোরেই গরমের প্রবল উপস্থিতি জানান দিয়েছে।
সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে সারাদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। এর ফলে আজও ঢাকাবাসীকে গরমের মধ্যে দিনের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ। একইসঙ্গে দিনের তাপমাত্রা আজও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, বিভাগীয় পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থেকে সাময়িক মেঘলা থাকতে পারে। দেশের অধিকাংশ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও হতে পারে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণও। পাশাপাশি দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যমান মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। তবে সিলেট বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এরমধ্যে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল ঢাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুর শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেখানে রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি। ময়মনসিংহেও মৃদু তাপপ্রবাহ রয়েছে, তবে তা কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। সেখানকার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে তাপপ্রবাহ এখনও বিদ্যমান রয়েছে, এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চট্টগ্রামে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তাপপ্রবাহের কোনো উল্লেখ নেই। চট্টগ্রামে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি। খুলনাতেও মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে, তবে তা কিছুটা কমে যেতে পারে। খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং রাতের তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ খ. হাফিজুর রহমান সই করা ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে, যা জনসাধারণের জন্য স্বস্তির বার্তা হতে পারে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় স্থানীয়ভাবে তাপ ও বৃষ্টির তারতম্য দেখা যেতে পারে।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]