মশা নিয়ন্ত্রণে বাসার বিভিন্ন জায়গায় জমা পানি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৫, ১৮:১৮
মশা নিয়ন্ত্রণে বাসার বিভিন্ন জায়গায় জমা পানি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মশা নিয়ন্ত্রণে এখন বাসার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, যারা গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন, তারা দারোয়ানকে ফোন দিয়ে সপ্তাহে দুদিন বাসার বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করবেন। তা না হলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে।


সোমবার (৯ জুন) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


কোরবানির পর ঢাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যায়, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপও দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উত্তর সিটি করপোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ডেঙ্গুর ক্যাম্পেইন ছাড়াও আপনারা যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন, গত তিনদিন সকালে মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি বিকালেও মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। বৃষ্টি হয়েছে, দিনে দুবার ছিটানো হচ্ছে। আমরা আবার মাইকিং শুরু করে দেবো।


তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বৃষ্টি হলে বাসায় পানি জমবে। রাস্তায় আমরা দিচ্ছি। বাসায় যখন পানি জমবে, ফ্রিজের নিচে পানি জমবে, রান্না ঘরের বেসিং ও কেবিনেটের নিচে পানি জমবে, ছাদের ওপরে পানি জমবে, গ্যারেজে যে গাড়ি ধুয়েছেন সেখানে এখন গাড়ি না ধুলেও পানি জমে থাকবে দু-তিনদিন। আপনারা যারা দেশের বাড়ি চলে গেছেন, তারা ফোন দিয়ে বাসার দারোয়ানের মাধ্যমে বাসা সপ্তাহে দুদিন পরিষ্কার করাতে হবে। পানি যেন কোথাও জমা না থাকে। এটা পাবলিক ক্রাইসিস, সবার জন্য এটা (পরিস্থিতি) খারাপ অবস্থার দিকে যাবে।


এদিকে ডিএনসিসি এলাকায় পশু কোরবানির বিষয়ে তিনি বলেন, এবার উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া কোরবানি হয়েছে। কোনো উট কোরবানি হয়নি। সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৮০টি কোরবানি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৭টি, ছাগল ১ লাখ ৫৪৬টি, মহিষ ১ হাজার ৭৬২টি এবং ভেড়া ৪ হাজার ৫৭টি কোরবানি হয়েছে।


মোহাম্মদ এজাজ বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পশু কোরবানি কম হয়েছে। তবে বর্জ্য উৎপন্ন হওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। গত বছর দুই সিটি করপোরেশনে ১২ লাখার বেশি পশু কোরবানি হয়।


বর্জ্য অপসারণের বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা প্রথম দিন অনুমান করেছিলাম এবার প্রায় ২০ হাজার টন ময়লা উৎপন্ন হবে। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত ২০ হাজার ৮৮৯ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করেছি। অফিসিয়ালি আমরা ভেবেছিলাম আজ (সোমবার) কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সমাপ্তি ঘোষণা করব। কিন্তু আমরা সমাপ্তি ঘোষণা না করে এটা চলমান রাখব। কারণ হচ্ছে আমরা জনগণের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি- যে পার্টিগুলোর মধ্যে মাংস বানানো হয়, সেগুলো অনেকেই রেখে দেন। এক-দুদিন পর ডাস্টবিনে ফেলেন। সেক্ষত্রে আগামীকাল ও পরশুও আমরা কোরবানির বর্জ্য বাড়ির সামনে পাবো বলে ধারণা করছি। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্যক্রম চলমান থাকবে।


বিবার্তা/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com