
কুমিল্লা জেলায় নৌকা সংকটের কারণে ত্রাণ বিতরণে দেরি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা লোকজনকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনেকে বন্যার্তদের জন্য রান্না করা খাবার আনছেন। নৌকার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকার জন্য সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
২৬ আগস্ট, সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, বুড়িচং এলাকায় কমপক্ষে ৫০টি ত্রাণবাহী পিকআপ, মিনি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। সেখান থেকে মাত্র ছয়টি নৌকা ত্রাণ নিয়ে আসা-যাওয়া করছে।
জেলা রেড ক্রিসেন্টের শাহাজাহান মিয়া বলেন, আমরা ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। ছয়টি নৌকা চলাচল করছে।
পাবনা থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবক আমির হোসেন বলেন, ৬০০ প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে এসে দেড় ঘণ্টা বসে আছি নৌকা পাচ্ছি না।
এদিকে বুড়িচংয়ের ফকির বাজার আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা শিশুখাদ্য না থাকায় বাচ্চাদের নিয়ে কষ্টে আছে মা-বাবারা।
চিড়া মুড়ি তো বাচ্চারা খেতে চায় না- এমন কথা জানান বলরামপুর গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বড়দের খাবারের সমস্যা নাই। বাড়িতে মেয়েটাকে বাজারের কেনা ডিব্বার দুধ ও সুজি দেওয়া হতো। টাকার অভাবে দুধ কেনা যাচ্ছে না।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিশুখাদ্যের সংকট দেখা গেছে। বাড়িতে আটকে পড়া শিশুদের একই অবস্থা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশের বাকশীমুল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানিতে প্লাবিত।
ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি সংস্থার লোকজন শিশুদের প্যাকেট জুস কিনে দিয়েছেন।
সেখানে আশ্রিত নারী তাছলিমা জানান, রাস্তার পাশে হওয়ায় প্রতিদিন শুকনো খাবার নিয়ে লোকজন আসছেন। কিন্তু শিশুখাদ্য কম আসছে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]