জাহাজ ছিনতাই
জিম্মি নাবিকদের রক্ষা করে নিরাপদে নিয়ে আসাই প্রথম কাজ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৯
জিম্মি নাবিকদের রক্ষা করে নিরাপদে নিয়ে আসাই প্রথম কাজ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করা জলদস্যুরা সোমালিয়ার কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত নন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।


১৩ মার্চ, বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।


প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, জিম্মি ২৩ নাবিকের জীবন রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা প্রথম কাজ। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এটা নিয়ে কাজ করছে। যেসব জলদস্যু জাহাজকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এখন পর্যন্ত তাদের দখলেই আছে।


এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কয়লা বোঝাই করে মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশে কবির গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এমভি আবদুল্লাহ’।


বুধবার সকালে এরপর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানান নৌ পরিবহণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।


এদিন দুপুরে নৌ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই জলদস্যু কি সোমালিয়ার নাকি অন্য কোনো দেশের, তা সরাসরি বলা যাবে না। তবে অঞ্চলটি সোমালিয়ার মধ্যে।


সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকের মহাসাগরে কয়েকটি স্পিড বোট ও মাছ ধরার বড় নৌকা নিয়ে সশস্ত্র দস্যুরা জাহাজে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ নেয়। জিম্মি করে ফেলে এর ২৩ নাবিককে।


কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, জাহাজটি সোমালিয়া কোস্টের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। সোমালিয়া কোস্ট থেকে এখনও ৪১০ নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।


খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ তো একাই এককভাবে চলে না। বিশ্বের সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। গতকাল আমরা এ সম্পর্কে যখন অবহিত হই তখন আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। নেভি এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করছে। তাদের হত্যার হুমকি বা মুক্তিপণ চাওয়ার কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।


প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এখন পর্যন্ত জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণেই আছে জাহাজটি। ভারত সাগরে জাহাজটি আছে। সার্বক্ষণিক তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এখন অবধি আমাদের নাবিকরা নিরাপদে আছে। এখন পর্যন্ত এটুকুই খবর আছে। পরবর্তীতে কোনো ভালো খবর পেলেই আমরা সাথে সাথেই জানাবো।


এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ খান দস্যুদের কবলে পড়ার পর স্ত্রীকে এক বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, টাকা না দিলে আমাদেরকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে দস্যুরা।


এ বিষয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের হত্যা করার কোনো হুমকি দিয়েছে কিনা, এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।


‘জলদস্যুদের সাথে যোগাযোগ করার কিছু সংগঠন আছে। সবার সহযোগিতা নেয়া হবে,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২৩ জন নাবিকের জীবন নিরাপদ রাখা এবং নিরাপদে নিয়ে আসা হলো প্রথম কাজ।


খালিদ মাহমুদ বলেন, দস্যু আর মানুষ এক জিনিস নয়। নির্দিষ্ট সময় বলে দেয়া যাবে না যে, কবে মুক্ত করা যাবে।


চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী কবির গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের একটি জাহাজ হলো এমভি আবদুল্লাহ। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পতাকাবাহী এমভি জাহান মণি ছিনতাই করে করে সোমালি জলদস্যুরা। ওই জাহাজটিও ছিলো কবির গ্রুপের।


সে সময় দরকষাকষি করে চুক্তির মাধ্যমে ২৫ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনে মালিকপক্ষ। তবে চুক্তির শর্ত কখনোই প্রকাশ করা হয়নি।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com