
প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত মনে করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের পর কোনো সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সরকারপ্রধান।
রবিবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন ‘বিরোধী দলে থেকেও সংসদে কোস্ট গার্ড আইন পাস করেছিল আওয়ামী লীগ। এখন সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আর এবার সমুদ্রের সম্পদ আহরণে গবেষণা জাহাজ সংগ্রহের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার’।
নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেইজ নির্মাণ করা ও অত্যাধুনিক নৌযান সংযোজনে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা এখন অনেক দক্ষ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাহিনীর জন্য ডকইয়ার্ড নির্মাণ হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। এ ছাড়া আরও দুটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার যুক্ত হচ্ছে কোস্টগার্ডে। আরও যুক্ত হবে আধুনিক মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স সিস্টেম। অচিরেই ত্রিমাত্রিক বাহিনী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
প্রত্যেকটি বাহিনীকে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কোস্ট গার্ডকেও ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় বাহিনীতে সংযোজিত ভি-স্যাটনেট যোগাযোগব্যবস্থা উদ্বোধন করেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কোস্টগার্ডের সদর দফতরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]