নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন শেখ হাসিনা
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৩
নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করছেন শেখ হাসিনা
সামিনা বিপাশা
প্রিন্ট অ-অ+

‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?


তারে বল, আদি-পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে – শয়তান যে – নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।
এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।’


নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ও নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনে প্রতিবছর ৮ মার্চ পালিত হয় 'আন্তর্জাতিক নারী দিবস'। প্রতিবছরের মতো এবারও বিশ্বব্যাপী পালিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'নারী' কবিতার উল্লিখিত অমর পঙক্তিগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এ বছর নারী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘নারীর সম-অধিকার, সমসুযোগ/এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’।


এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য ছিল 'নারীদের উপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন'। মূলত এর মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনতে যে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হচ্ছে না সেই বিষয়টাতে মনোযোগ দেয়া হয়েছে। নারী দিবসকে ঘিরে বলা হয়েছে, 'সংঘাত ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৭৫ শতাংশ দেশেই জনগণের জন্য রাষ্ট্রের ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে, যা নেতিবাচকভাবে নারীদের ও তাদের জরুরি সেবার উপর প্রভাব ফেলবে'।


জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বজুড়ে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ সহায়তা দিয়ে থাকে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতন মোকাবিলায়, এবং ০.২ শতাংশেরও কম খরচ করা হয় এই নির্যাতন প্রতিরোধে। জাতিসংঘের হিসেবে ২০৩০ সাল নাগাদ লিঙ্গ সমতা আনতে হলে এখন থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৩৬০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বিনিয়োগ করতে হবে।


১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নারী শ্রমিকদের হাত ধরেই সূচনা ঘটে নারী দিবসের। নারীর ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কয়েকজন সাহসী নারী এক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। প্রায় ১৫ হাজার নারী সেদিন নিউইয়র্ক সিটির রাস্তায় নেমেছিলেন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক সিটিতে প্রথম নারী দিবস পালিত হয়। এটি জাতীয় নারী দিবস হিসেবে পরিচিত ছিল। এই দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে পালনের চিন্তাটা মাথায় আসে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ও সমাজতান্ত্রিক কর্মী ক্লারা জেটকিনের।


বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ সাপেক্ষে বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে এবং অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব ও সফল হয়েছে। আর এই সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তবে, তার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে আমাদেরও দায়দায়িত্ব আছে। আর সেই দায় থেকেই নারীদের সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে, সুনিশ্চিত জীবনের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, প্রয়োজন সম-অধিকার, সমসুযোগ তৈরিতে বিনিয়োগ এবং নারীদের জন্য ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করা।


নারী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীদের সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। নারীর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকেও নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মেয়েদের সুযোগ দিলে পারবে না, এটা তিনি মানতে রাজি না। মেয়েদের অর্থনৈতিক মুক্তি সবচেয়ে বড়। অর্থাৎ, নারীকে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা দিলে তারা সব পারবে।


শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী- কোথাও মেয়েদের সুযোগ ছিল না। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেই সুযোগ করে দিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নারীরা সবচেয়ে বেশি দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারাই সুনাম বয়ে আনছেন বাংলাদেশের।’


দ্বাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বিবার্তাকে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি সেই কাজ সম্পূর্ণ করে রেখে যেতে পারেননি। তাকে সপরিবার নির্মমভাবে হত্যা করার পর অপশক্তি ক্ষমতায় আসায় নারীর ক্ষমতায়ন আর আলোর মুখ দেখেনি। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালে নারীনীতি প্রণয়ন করেছিলেন এবং এই নারী নীতি অনুযায়ী সারা বাংলাদেশে নারীরা প্রথম সরাসরি ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচন করেছিলেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সারা বাংলাদেশে রুট লেভেলের নারীদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা বাংলাদেশের নারীরা শুধু ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত নয়, আপ টু অ্যাপিলেট ডিভিশনের জাস্টিস পর্যন্ত নারীরা রয়েছে। যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্ব সহকারে কাজ না করতেন তাহলে এটি সম্ভব হত না।


এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর মহান জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী, সংসদ নেতা নারী, সংসদ উপনেতা নারী, বিরোধীদলীয় নেতা নারী হয়েছে। ২০০৮ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৪ থেকে বিএনপি প্রার্থীকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। সেসময় মোট ১৯ জন নারী সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। সেই যে যাত্রা শুরু হয়েছিল সরাসরি ভোটে নারীদের অংশগ্রহণ অর্থাৎ নারীর ক্ষমতায়নের জায়গাটায় নারীদের যে অংশগ্রহণ সেটা কিন্তু আগে এমনটা ছিল না। বাংলাদেশকে নারীর ক্ষমতায়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।


তিনি বলেন, আগে পরিবারের প্রধান অর্থাৎ স্বামীই সিদ্ধান্ত নিতেন কিন্তু এখন নারীরাও পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন নারী হিসেবে নারীদের যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন বা করছেন এই ধারা অব্যাহত থাকলে নারীরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।


তিনি আরো বলেন, নারীরা প্রথম পরিবারে সহিংসতার শিকার হয়, সেটা বর্তমান সময়ে অনেকাংশে কমেছে। পরিবারের সহায়তা না পেলে একজন নারী কখনোই, কোনোভাবেই তার পেশাগত ও সামাজিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এখন ছেলেরা অনেক লিবারেল হয়েছে, নারীরা পরিবার সমাজের সহযোগিতা পাচ্ছে, ফলে এগিয়ে যেতে পারছে সাফল্যের দিকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি আমার আজকের অবস্থানে আসার পেছনে স্বামীর, আমার বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার দুই পরিবারের অবদান রয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলেই একজন নারী নিজেকে সফল করতে পারে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিনাত হুদা বিবার্তাকে বলেন, আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক। এই সমাজব্যবস্থায় এখনো উঁচু পদগুলোতে নারীদের পজিশন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা পরিবারে যেমন দেখছি, রাজনৈতিক অঙ্গনে, অফিস আদালতে তেমন দেখছি, সব জায়গাতেই দেখছি, কতগুলো হিপনোটাইজড ট্যাবু দিয়ে দেওয়া হয়, চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলোতে নারী এখনো ফিট না। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাই বলা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উপাচার্য নারীকে দেওয়া হচ্ছে না, এখনো পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নারী উপাচার্য হয়নি।, বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর কাজ খুব কঠিন, সেজন্য নারীদের দেওয়া হচ্ছে না। ঠিক একইভাবে চ্যালেঞ্জিং সেক্টরগুলোতে, সেনাবাহিনীতে হয়ত একজন মেজর জেনারেল নারী, বড় পদগুলোতে নারীরা নেই।


অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, আমি যদি একজন নারী প্রধান বিচারপতি দিতে পারতাম, আমি খুব খুশি হতাম। কেন দিতে পারছেন না বা কেন হচ্ছে না সেই বিষয়টাই প্রমাণ করে, আমরা যে বলছি নারীরা অনেকদূর এগিয়ে গেছে, নারী শিক্ষার্থী বেড়েছে, নারী স্বাবলম্বী হচ্ছে, নারীরা পাহাড়-পর্বত জয় করছে, নারী ফুটবলার হচ্ছে, নারী স্কুটি চালাচ্ছে, এই সবই যেমন সত্য, সেইসাথে নারী নির্যাতনও বেড়েছে, পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে সেটাও সত্য। তবে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে, নারী এগিয়েছে। সামনে আরো চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো পার হতে হবে।


তিনি বলেন, সমাজে নারীর অবস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে, সোশ্যাল সিগমা ট্যাবুগুলো ভেঙে যাচ্ছে। এক নম্বর হচ্ছে, পরিবর্তন আনয়নে শিক্ষা একটা বিশাল ব্যাপার। বর্তমানে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। আগে বলা হত নারীদের মেধা নেই, তারা ম্যাথেমেটিকস পারে না, বলা হত মেয়েরা টেকনোলজি কীভাবে করবে, বুয়েট মেডিক্যালে কীভাবে পড়বে, এখন শুধু পড়ছেই না, প্রথম দ্বিতীয়ও হচ্ছে, নারী শিক্ষার হার বেড়ে সেসব ধারণা দূর হয়েছে। দুই, পরিবারের ভেতর একটা পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় ছিল যখন ছেলে সন্তানই কাম্য ছিল। আগে যেমন ছেলে বা মেয়ে পার্থক্য করা হত, এখন সেটা অনেকটাই কমেছে। তিন, মেয়েদের বিয়ের বয়স বেড়ে যাচ্ছে। এখন মেয়েরা উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে বিয়ের কথা ভাবছে। অতএব, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, স্বাবলম্বী জীবনে নারীকে আমরা যত বেশি বিকশিত করতে পারব, ততই নিশ্চিত হবে নারীর ক্ষমতায়ন। আর সেইসাথে একটি কথা বলতেই হবে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীবান্ধব ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। তিনি বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে যা করেছেন তা সত্যিই অকল্পনীয়।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক জাহানারা আরজু বিবার্তাকে বলেন, এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘নারীর সম-অধিকার, সমসুযোগ/এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’এই যে প্রতিপাদ্য এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এই যে নারী দিবস, আমরা সভা, আলোচনা করে নারী স্বাধীনতার কথা বলি এর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। একটা নারী যদি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়, তাহলে সে অনেককিছুই করতে পারবে। বাবা হোক, ভাই হোক, স্বামী হোক- কারো উপর তাকে নির্ভর করতে হবে না। একজন স্বাবলম্বী নারীর কারো বঞ্চনা সহ্য করতে হবে না। বাংলাদেশে এখন অর্ধেক জনগোষ্ঠীই নারী। নারীরা তখনই পিছিয়ে থাকে, যখন সে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয়।


তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন। এসবকিছু এগিয়ে নিতে আমাদের সকলেরও দায়িত্ব আছে, আর সেই দায় থেকেই নারীদের এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ করতে হবে, নারীদের জন্য সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।


বিবার্তা/এসবি/রোমেল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com