শিরোনাম
নভেম্বরে চালু হচ্ছে জাতীয় ডেবিট কার্ড
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:১৬
নভেম্বরে চালু হচ্ছে জাতীয় ডেবিট কার্ড
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা হ্রাস ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমাতে আগামী নভেম্বরে জাতীয় ডেবিট কার্ড সেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মাধ্যমেই ডুয়েল কারেন্সি (টাকা-রুপি) ব্যবহারের সুবিধা দেয়া হবে।


১৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।


জানা গেছে, বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে এই জাতীয় ডেবিট কার্ড চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে এই কার্ড চালুর বিষয়ে পাইলটিং করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করা যাবে, তবে এখনও নিশ্চিত নয়। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হলে জানানো হবে। ইতোমধ্যে এ কার্ড চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পাইলটিং করছে। প্রাথমিকভাবে ৮টি ব্যাংক নিয়ে পাইলটিং কার্যক্রম করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে এই কার্ড ব্যবহার হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি কার্ডের জন্য যেসব সেবা দেবে, তা সাশ্রয়ী হবে। তখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা হবে। এখন আন্তর্জাতিক কার্ড স্কিমগুলো যা নির্ধারণ করে দেয়, তা-ই মানতে হয়।


তিনি বলেন, প্রথমে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করা হবে। পরে এই কার্ডে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে এর মাধ্যমেই টাকা-রুপিতে লেনদেনের সুবিধা প্রদান করা হবে।


এর আগে, গত ২ জুন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড চালুর ব্যাপারে কাজ চলছে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।


তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভিসা, মাস্টারকার্ড বা বাইরের কোম্পানিগুলোর ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড আছে। আমাদের নিজস্ব কোনো কার্ড ছিলো না। এগুলোর ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা ছিলো। তাছাড়া, সংশ্লিষ্ট ফি বাইরে চলে যায়।


তিনি আরো বলেন, আমরা জাতীয় ডেবিট কার্ড তৈরি করছি। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এক কার্ড ব্যবহার করবে। এটার প্রচলন হলে আমরা মনে করি টাকার পরিবর্তে এই কার্ডের ব্যবহার বেড়ে যাবে।


পরে মুদ্রানীতি অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে যে ডেবিট কার্ড নিয়ে আসা হচ্ছে, এটার নাম দেয়া হয়েছে ‘টাকা পে কার্ড’। এই কার্ড ব্যবহার করে দেশের ভেতরে কেনাকাটা করা যাবে। এটাকে আমরা রুপির সঙ্গে যুক্ত করে ফেলব, সেই প্রক্রিয়া চলছে।


আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বাংলাদেশেও এই কার্ড দিয়ে লেনদেন করা যাবে। আবার কেউ ভারতে গেলে ভ্রমণকারীর ১২ হাজার ডলারের যে ভ্রমণ কোটা আছে, সেই পরিমাণ অর্থ তিনি রুপিতে কেনাকাটা করতে পারবেন। ফলে মুদ্রার বিনিময়ের কারণে যে ক্ষতি হতো, সেটা আর হবে না। তাতে দেখা গেছে, ৬ শতাংশের মতো অপচয় কমবে। বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেন ভারতে। এতে অনেক ডলার বাঁচবে।


বিবার্তা/লিমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com