যুক্তরাজ্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য নতুন বাণিজ্য স্কিম (ডিসিটিএস) চালু করেছে। নতুন এই স্কিমের আওতায় বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড সাশ্রয় হবে ঢাকার।
দেশটির চালু করা নতুন বাণিজ্য স্কিম থেকে বাংলাদেশ কী ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবে তা পর্যালোচনার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক কয়েকজন নীতি নির্ধারক, গবেষক ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের নিয়ে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) তার বাসভবনে আলোচনা করেন।
ব্রিটিশ দূতাবাস জানিয়েছে, বাণিজ্যের নতুন স্কিম ডিসিটিএস যুক্তরাজ্যের পুরাতন জেনারালাইজড স্কিম অব প্রিফারেন্সের (জিএসপি) প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, যা গত জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। নতুন বাণিজ্য স্কিমের আওতায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে। নতুন স্কিমের আওতায় বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাজ্যে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড সাশ্রয় হবে ঢাকার।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই সাশ্রয় যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। এই স্কিমের আওতায় অস্ত্র ছাড়া বাকি সকল পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে, যা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। ২০২৯ সালের মধ্যে বাণিজ্যের আরো উন্নত স্কিমে বাংলাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নীত হবে এবং তৈরি পোশাক খাতসহ ৯৮ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
বাণিজ্যের নতুন স্কিম ডিসিটিএস বাণিজ্য এবং সমৃদ্ধি বাড়াবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শ্রম এবং মানবাধিকার বজায় থাকলে এই স্কিমের সুযোগ-সুবিধাও বহাল থাকবে। যার সঙ্গে নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার, দুর্নীতি দমন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ সংক্রান্ত ইস্যুও জড়িত রয়েছে। ডিসিটিএস স্কিমের সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকার বিপরীতে যুক্তরাজ্য এসব বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, নতুন এই বাণিজ্য স্কিম বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মসৃণ পথচলায় সহায়তা করবে। এর আওতায় দুইপক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উত্তীর্ণ হবে।
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]