অটিজম নিয়ে ইপনার কার্যক্রমে প্রশংসা দেশ বরেণ্য চিকিৎসকদের
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ১৭:৫৪
অটিজম নিয়ে ইপনার কার্যক্রমে প্রশংসা দেশ বরেণ্য চিকিৎসকদের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের (ইপনা) কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন দেশ বরেণ্য চিকিৎসকরা। ইপনার কার্যক্রম ও এখানকার শিশুদের শারীরিক অবস্থার অগ্রগতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে তারা অটিজম সংক্রান্ত গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।


১৭ জুন, শনিবার বিএসএমএমইউর ইপনার পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।


বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, অটিজম শিশুরা অসম্ভব মেধাবী, তাদের বিকশিত হতে দিতে হবে। হতাশ না হয়ে তাদের পেছনে লেগে থাকতে হবে। মায়েদের কাছে বলব, এ শিশুদের নিয়ে কষ্টের ফলে আপনাদের জন্য বেহেশত কবুল হয়েছে। আপনারা ধৈর্য ধরে চিকিৎসা ও যত্ন করে যান। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমেরিকার সাঁতারু মাইকেল ২৮টি অলিম্পিক পুরস্কার পেয়েছে। সে অটিজম আক্রান্ত ছিল।


গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা এমবিবিএস পড়ার সময় অটিজম শব্দ শুনিনি। পোস্ট গ্রাজুয়েশনেও শুনিনি। প্রথম শুনেছি সোভিয়েত ইউনিয়নে। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত অটিজমের কারণ নিয়ে পড়াশোনা করেছি, সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাইনি। এ নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে।


এ নিয়ে আরও কাজ করার আছে জানিয়ে ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, আমরা অনেক এগিয়েছি। তবুও আমাদের ব্যর্থতা আছে। যেমন- প্রতি শুক্রবার অটিজম শিশুদের মায়েদের নিয়ে একটা প্রোগ্রাম হতো। সেটি নেতৃত্বের কোন্দলে ভেঙে গেছে। আমরা সব সময় পদের পেছনে ঘুরি।


প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, শুরুতে ইপনার কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার সংশয় থাকলেও বর্তমানে আমি খুবই আনন্দিত। অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মাধ্যমে ইপনার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। শুরুতে মনে করেছিলাম এটা দিয়ে কী হবে? এটি বাস্তবে রূপ পাবে কি না? এখন দেখে খুব ভালো লাগছে। ইপনা সংশ্লিষ্টরা বিষয়গুলো খুব সহজ করে মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন।


এ সময় ইপনার যে কোনো প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সবসময় সহযোগিতা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।


অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল বলেন, যেহেতু পাঁচ বছর হয়ে গেছে, ইপনা এখন সামনে এগিয়ে যাবে। একটি প্রতিষ্ঠান প্রথম পাঁচ বছর টিকে থাকার লড়াই করতে হয়। পরে আর বেগ পেতে হয় না। অটিজম প্রতিরোধে পাবলিকলি সচেতনতা প্রোগ্রাম চালু করতে হবে। এতে প্রাথমিকভাবে অটিজম চিহ্নিত করা যায়।


অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইপনার ইতিহাস তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১১ সালে সোনিয়াগান্ধি এসেছিলেন, শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন, তখন আমিও ছিলাম। আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। যত্নে সেবায় বদলে দিন, এটি স্লোগানে যাত্রা শুরু করা ইপনা হাঁটি হাঁটি পা করে আজ ৫ম বর্ষে উপনীত হয়েছে। অন্য দুই-একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এ নিয়ে কাজ করছে।


অনুষ্ঠানে ইপনা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের সহযোগিতা চান তিনি। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে সায়মা ওয়াজেদ ইপনায় ক্লাস নেবেন বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অধ্যাপক শারফুদ্দিন।


বিবার্তা/রিয়াদ/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com