আর একদিন পরই আসছে বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে বরণ করে নেওয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে। তাই প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যৌথ উদ্যোগে চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি ।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে - ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’। যুদ্ধ নয়, শান্তির পৃথিবীর প্রত্যাশার বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার পঙ্ক্তি থেকে এ প্রতিপাদ্য নেওয়া হয়েছে। এটি সামনে রেখে চলছে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বরণ করার প্রস্তুতি। প্রতিবছর মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনে দায়িত্বে থাকে চারুকলা অনুষদের দুটি ব্যাচ। এ বছর দায়িত্বে আছে ২৪ ও ২৫তম ব্যাচ যথাক্রমে।
বছরের প্রথম দিনে সকালে সারা বছরের মঙ্গল কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ। আয়োজনকে প্রাণবন্ত করার লক্ষ্যে শিক্ষক শিক্ষার্থীর দিনরাত চলছে পুরোদস্তুর প্রস্তুতি।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ব্যস্ত রঙ তুলি দিয়ে ছবি আঁকতে, মাটির জিনিসপত্রে রঙ করে শৈল্পিক ছোঁয়া দিতে। ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা মোটিভ, মাটির সরা, রাজা -রানীসহ বিভিন্ন প্রাণির মুখোশ, বিভিন্ন রকমের পাখিসহ শিল্প-সংস্কৃতির পরিচায়ক নান্দনিক জিনিসপত্র বানাতে কাজ করছেন তারা।
চারুকলার শিক্ষার্থী জায়েফ বিবার্তাকে জানান, পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখকে ঘিরে উৎসবমুখর থাকে চারুকলা প্রাঙ্গণ। মঙ্গলের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয় মঙ্গল শোভ যাত্রা যেখানে সকল সারির মানুষের মিলন ঘটে। অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালির মনে মঙ্গল আসুক এই কামনা করি।
আরেক শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, বাঙালির সাংস্কৃতিক, তার পরিবেশ, প্রকৃতির সাথে সম্পৃক্ত ভাস্কর্য, মুখোশ সহ নানা শৈল্পিক উপাদান নিয়ে বছরের প্রথম দিন শোভাযাত্রা বের করা অবশ্যই "বাঙালি সংস্কৃতির" অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে এখন আমি গণ্য করবো। কতো সালে এটা প্রথমবার হয়েছে তা নয় বরং এর সাথে আমার শেকড়ের সম্পর্ক কতটা তা হলো মুখ্য। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালি, সর্বোপরি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করেছে।
বিবার্তা/ফারুক/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]