রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ৫ এপ্রিল, বুধবার এক বার্তায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা রাষ্ট্রপ্রধান।
এদিকে সর্বশেষ পাওয়া সংবাদে জানা গেছে যে, এখনো থেমে থেমে জ্বলছে এনেক্সকো টাওয়ারের আগুন, এখনো সেখানে থেকে থেকে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। বঙ্গবাজারের আগুনে শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কেবলই ব্যবসায়ী-মালিক ও শ্রমিকদের আর্তনাদ ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের এলাকা। ঈদের আগে জীবিকা হারিয়ে পথে বসেছেন হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের সর্বশেষ অবস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, নেক্সকো টাওয়ারের প্রতিটি দোকানেই নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য মজুত ছিল। এ কারণে আগুন স্থায়ীভাবে নেভাতে সময় লাগছে। তবে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ফের আগুনের সূত্রপাত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সারাদিন, সারারাত পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করেছেন এবং এখনও তা অব্যাহত আছে। তবে দোকানগুলোতে অতিরিক্ত পণ্য মজুতের কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অভিযানে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারা আগুনের উৎসের কাছাকাছি যেতে পারছেন না। এজন্য কিছুটা সময় লাগছে এবং মাঝেমধ্যেই ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়।
জানা গেছে, সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভোর ৬টা ১২ এর দিকে। এরপর একে একে ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। উদ্ধারকাজ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর দলও। সবার চেষ্টায় বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর।
বিবার্তা/নিলয়/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]