ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনার চারদিন পর আরো ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রথম মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয়টি উদ্ধার করা হয় বিকালে। মৃতদেহ দুটি নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ডুবুরিদল মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে আরো একটি মরদেহ। বিকালে উদ্ধার করা হয় আরেকটি মরদেহ। প্রথম মরদেহটি এক যুবকের। তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী বলে শণাক্ত করেছেন উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস দল। তার মুখ আগুনে পোড়া। গায়ে সোয়েটার রয়েছে। তবে তার পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। দ্বিতীয় মরদেহটি ১৫-১৬ বছর বয়সী একজন কিশোরের। তার পরিচয়ের ব্যাপারেও বিস্তারিত এখন বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সদরঘাট থেকে অভিযান-১০ লঞ্চটি ছেড়ে যায় বরগুনার উদ্দেশ্যে। ঝালকাঠির গাবখানের কাছাকাছি সুগন্ধা নদীতে থাকা অবস্থায় রাত ৩টার পর লঞ্চে আগুন ধরে যায়। সে সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন লঞ্চের অনেক যাত্রী। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।

সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অগ্নিকাণ্ডে লঞ্চটির ৩৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন ৫০ জন যাত্রী।

বিবার্তা/আশিক