রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতের সবজি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের চাষিদের কাছ থেকে সবজি কিনে তা রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পাঠান পাইকাররা। তাই বাজারে তুলনামূলক সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে বেশ কিছু সবজির দাম এখনো চড়াও রয়েছে। সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় স্বস্তির আশায় আছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতারা বিবার্তাকে বলেন, পাইকারি বাজারে দাম চড়া থাকার কারণেই খুচরো বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শীতের আগাম শাক-সবজি চলে আসায় সবজির দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে। মূলাশাক, লাউশাক, লালশাক, শসা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, মূলাসহ আরো বিভিন্ন ধরনের সবজি উঠেছে।
প্রতি পিস ফুলকপির বিক্রি হচ্ছে ৮ থেকে ১২ টাকা করে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা দামে। প্রতি কেজি লাল শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে। আর সবুজ শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। টমোটো গত সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার ১০০-১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও মূলা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের প্রতিটি লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং লালশাক, মূলাশাক, লাউশাক আটি প্রতি পাঁচ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙা ৫০ টাকা এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের বিসমিল্লাহ ভান্ডারের স্বত্ত্বাধীকারী আজিজ রহমান বিবার্তাকে বলেন, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে। নতুন সবজিগুলোর প্রতি ক্রেতাদেরও চাহিদা বেশি। তাই বিক্রি ভালোই হচ্ছে।
তবে ইব্রাহিম নামের এক ক্রেতা বিবার্তাকে বলেন, শীতের শাক-সবজি বাজারে পর্যাপ্ত রযেছে। তারপরও কিছু সবজির দাম এখনো নাগালের বাহিরে রয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সবজির দাম কম থাকলে অন্যান্য বাজারে সবজির দাম অনেক বেশি।
মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকায় বাজারগুলোতে প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৫০ টাকা, পাতাকপি ৫০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিপিস ৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা ও লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা। এসব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি ধরে। দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৫৫-৫০ টাকা, ইন্ডিয়ান ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এছাড়া শুকনো মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চায়না আদা ১৬০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, ইন্ডিয়ান ডাল ৯০ টাকা ও দেশি ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতিলিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
বিবার্তা/খলিল/এমও
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]