শিরোনাম
প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে : ফখরুল
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৩৮
প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে : ফখরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনীতিবিদরা এখন দেশ পরিচালনা করছে না। একজন রাজনীতিবিদকে (প্রধানমন্ত্রী) সিকিউরিটি হিসেবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তাকে দিয়ে গণতন্ত্রবিরোধী সব কাজ করিয়ে নিচ্ছে। তারা রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধংশ করে দিয়েছে।


শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সংসদে জনগণের কোনো প্রতিনিধিত্ব নাই। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ১৫৪ জনকে নির্বাচিত করেছে। ২০১৮ সালে তারা আগের রাতেই ভোট ডাকাতি করেছে।


আপনারা জানেন এই আওয়ামী লীগই ৭২-৭৫-এ চারটি সংবাদমাধ্যম ছাড়া সব সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করেছিলো। সংবাদমাধ্যমকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছিলো। আমি ধন্যবাদ জানাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে যিনি স্বৈরাচার এরশাদের হাত থেকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমাদের বাক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা উম্মুক্ত করে দিয়েছিলেন।


বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা একটি ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছি। আজকে একটি সরকার জবরদখল করে বসে আছে। যারা আমাদের ৫০ বছরের সকল অর্জনকে ধংস করে দিয়েছে। এই দুঃসময় শুধু সংবাদমাধ্যমের নয়, এই দুঃসময় শুধু বিএনপির নয়। এই দুঃসময় পুরো জাতির জন্য।


তিনি বলেন, একটি মুক্ত সমাজ, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। আওয়ামী লীগ আমাদের সেই আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধংশ করে দিয়েছে। তারা এর আগেও বাকশাল গঠন করেছিলো এবং এখনো গণতন্ত্রের মুখোশ পরে বিভিন্ন আঙ্গিকে গণতন্ত্রকে ধংশ করে আমাদের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।


মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা জানেন ২০১২ সালে বিচারপতি খায়রুল হক তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সেটাকে লুফে নিয়ে বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে আজকে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ধংশ হয়ে গেছে।


তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আজকে আবার শোনা যাচ্ছে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। কেউ বলছে, এটার জন্য একটি আইন করা দরকার। কিন্তু আইনটা করবে কে? সংসদে তো আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকিছু নেই। যারা এদেশে গণতন্ত্রকে হরণ করে এদেশের মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে তারাই আজকে এই আইনটি করবে।


বিএনপি মহাসচিব বলেন, ফ্যাসিবাদের সাথে মুক্ত গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যম কখনো একসাথে যায় না। ফ্যাসিবাদ মানেই হলো ভয়ভীতি, ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নেয়া। গুম, খুন ও নির্যাতনের মাধ্যমে অস্ত্রের মুখে টিকে থাকা। আজকে আওয়ামী লীগ সেটাই বেছে নিয়েছে।


ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাবেক সভাপতি বাকের হোসেন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।


বিবার্তা/জাহিদ/জুয়েল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com