বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই সপ্তাহের জন্য আবারো 'কঠোর বিধিনিষেধ' কার্যকর করা হয়েছে।
কোরবানির ঈদের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় ঢাকার ভেতরে যানবাহন চলাচল ও রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি এমনিতেই ছিল কম।
কঠোর বিধিনিষেধের কারণে রাস্তায় বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিকশার মত গণপরিবহনের উপস্থিতি নাই।তবে বিভিন্ন জায়গায় কিছু ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল রয়েছে। রাস্তাঘাটে রিকশার উপস্থিতি রয়েছে তবে তা গত বিধিনিষেধের সয়য়ের চেয়ে কম।
শহরের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় এবং ঢাকায় প্রবেশের রাস্তাগুলোতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের সব জায়গায় যান চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সকাল থেকে ঢাকায় ঢুকেছেন হাজার হাজার মানুষ।
গাবতলী এলাকার আমিনবাজার ব্রিজে ঢাকামুখী যানবাহন আটকে দেয়া হয়।ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষকে দেখা যায় পায়ে হেঁটে, রিকশায় নিজেদের গন্তব্যে ফিরতে।
জুনের শেষদিকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পহেলা জুলাই থেকে সাতদিনের 'কঠোর বিধিনিষেধ' জারি করে কর্তৃপক্ষ।পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।
তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১৪ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দেয়া হয়।সেসময়ই ঈদের ছুটির পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত আবারো কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
তবে পহেলা জুলাই থেকে প্রথম দফা লকডাউনে গার্মেন্টস সহ কিছু কলকারখানা খোলা থাকলেও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ২২ জুলাই মন্তব্য করেন যে এবারের লকডাউনে সব ধরণের কল কারখানা বন্ধ থাকবে।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]