শিরোনাম
সড়ক মহাসড়কে পরিবহন সংকট, ভোগান্তি চরমে
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৫
সড়ক মহাসড়কে পরিবহন সংকট, ভোগান্তি চরমে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নতুন সড়ক পরিবহন আইন কা র্যকর হওয়ার পর থেকে সড়ক ও মহাসড়কে পরিবহন চলাচল কমে যায়।মঙ্গলবার থেকে ঘোষিত ও অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।বুধবার সকালে রাজধানীর কর্মব্যস্ত লোকজন রাস্তায় বের হয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে দেখো গেছে।


কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে অফিসগামী মানুষদের।সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে নিম্ন ও শ্রমজীবী মানুষগুলো।


যারা না জেনে দূর গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন তারা পড়েছেন আর এক সমস্যায়।রাজধানীর বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।


বাসের পাশাপাশি পণ্য পরিবহন করা ট্রাক-লড়িও ঘোষিত অঘোষিত ধর্মঘট ডেকেছে।যার ফলে নিত্যপণ্যের আরেক এক দফা দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ।



বাসের অপেক্ষায় এক যাত্রী


এদিকে নতুন সড়ক পরিবহন আইনের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। রাজধানীর নিকটবর্তী নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় বুধবার সকালে অবরোধ করে শ্রমিকরা।


বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকদের আন্দোলন-ধর্মঘটে বন্ধ হয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় গাড়ি চলাচল। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় সব যান চলাচল।


আজ সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল, কাঁচপুরসহ ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। অনেক স্থানে রাস্তার ওপর রাখা হয়েছে বড় বড় যানবাহন। ফলে রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।


জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) মোল্লা তাসনিম হোসেন অবরোধের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরা ঢাকার অংশে যানবাহন প্রবেশ ও এখান থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।


গাড়ির মালিকরা অবশ্য বলছেন, মূলত এটি শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ধর্মঘট। এখানে মালিকপক্ষের কোনো কিছু নেই।



সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে বাস শ্রমিকদের বিক্ষোভ


অপরদিকে, সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ।বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কে যানবাহন তেমন চলছে না।


সরেজমিনে মহাসড়কের কয়েকটি বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে। কিন্তু বাস নেই। তারা অপেক্ষা করছেন। সকাল সোয়া আটটা থেকে পৌনে নয়টা পর্যন্ত মহাসড়কের মির্জাপুর, ইচাইল, কর্ণী, শুভুল্যা ও কদিম ধল্যা এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় মহাসড়কে উত্তরাঞ্চলগামী দুই-একটি বাস, কিছু সংখ্যক ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলছে। টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী কোনো বাস চলতে দেখা যায়নি। জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি বাস ঢাকার দিকে গেছে। এ ছাড়া কয়েকটি লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার চলছে।


এছাড়াও সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে পাঁচ বিভাগে চলছে চালক-শ্রমিকদের ধর্মঘট। কোথাও দূরপাল্লা, কোথাও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস বন্ধ রেখেছে তারা।


রাজশাহী বিভাগের ৬ জেলায় দ্বিতীয় দিনের মত বন্ধ বাস চলাচল। চালক-শ্রমিকদের এই অঘোষিত ধর্মঘট চলছে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। বরিশালের ৫ জেলার পর ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে আর ময়মনসিংহ বিভাগের দুই জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালক-শ্রমিকরা। বিদ্যমান আইন চ্যালেঞ্জ করে বাস বন্ধ রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।


সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পণ্য পরিবহন বন্ধ রেখেছে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।


তারা বলছেন, পরিবহন চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক না হলে আরেক দফা বাড়বে নিত্য পণ্যের দাম। সংকট নিরসনে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির বৈঠক হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় ওই বৈঠক।


বিবার্তা/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com