শিরোনাম
চাঞ্চল্যকর যেসব তথ্য দিলেন ক্যাসিনো খালেদ!
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:০৮
চাঞ্চল্যকর যেসব তথ্য দিলেন ক্যাসিনো খালেদ!
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেফতারের পর র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।


ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেটের বিষয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। ক্যাসিনো পরিচালনা থেকে আসা আয়ের ভাগ কার কার কাছে যেত, তাদের নামও বলেছেন তিনি।


সূত্র জানায়, যুবলীগ নেতা খালেদ যাদের নাম বলেছেন, তাদের মধ্যে বিদেশে অবস্থানকারী আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী এবং রাজিনীতিবিদও রয়েছেন। প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন খালেদ।


যুবলীগের একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। তার দেয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছে র‌্যাব।


র‌্যাব জানায়, খালেদ তাদের কাছে দাবি করেছেন, প্রতিটি ক্যাসিনোতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা লেনদেন হতো। লাভের অংশের টাকা তিনি প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দিতেন।


কাউকে কাউকে তিনি গাড়িও উপহার দিয়েছেন। অনেককে দামি মোবাইল ফোনও উপহার দিয়েছেন। পুলিশের ডিসি থেকে ওসি পর্যন্ত মাসিক ভিত্তিতে টাকার ভাগ পৌঁছে দিতেন তিনি।


পুলিশের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত তার ক্যাসিনো ব্যবসার কথা জানত। ক্যাসিনোর অর্থ তিনি বিদেশে অবস্থানকারী আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসীদের কাছেও পৌঁছে দিতেন। মগবাজার এলাকার একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী নাজির আরমান নাদিম ও শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের হয়ে তিনি ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাদের তিনি ঢাকা থেকে অর্থ পাঠাতেন।


জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ জানিয়েছেন, ক্যাসিনো ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব টাকা পাচার করেছেন তিনি। তবে কত টাকা তিনি পাচার করেছেন, এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।


গত বুধবার রাতে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। দুপুরের পর থেকে চলে ইয়াংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান।


বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তিনি র‌্যাব ৩-এর হেফাজতে ছিলেন। দুপুরের পর তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে আলাদা তিনটি এবং মতিঝিল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা করে র‌্যাব।


বর্তমানে ডিবি (উত্তর) কার্যালয়ে রয়েছেন খালেদ। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com