এতদিন শুধু রাজধানীবাসী আক্রান্ত হলেও এ বছর দেশের সব জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। তাই ঢাকার বাইরের জেলাগুলোয় এডিস মশার উপস্থিতি ও ঘনত্ব শনাক্তকরণে চারটি বিভাগে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে এ জরিপ কার্যক্রম শুরু হবে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত মোট আটটি দল এ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত রবিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টা) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৫৩ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ১৯৩ জন ও ঢাকার বাইরে ৪৬০ জন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৮১ হাজারেরও বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের। তবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা কন্ট্রোল রুমের উল্লেখিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
সরকারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২০৩ জনের মৃত্যুর তথ্য আইইডিসিআরের ডেথ রিভিউ কমিটিতে জমা হয়। কমিটি ১১৬ রোগীর মৃত্যুর কারণ পর্যালোচনা করে ৬৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা মূলত ঢাকা শহরে বর্ষা মৌসুমে এবং এর আগে ও পরে মিলিয়ে মোট তিনটি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ ঢাকার বাইরে বেশি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বিভিন্ন জেলায় এডিস মশার উপস্থিতি ও ঘনত্ব শনাক্তকরণে জরিপ চালানোর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মশক নিধন কার্যক্রমও সারাদেশেই পরিচালনা করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের কোন এলাকায় মশার প্রকোপ বেশি, কী কী ধরনের মশা রয়েছে- এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ও সঠিক পরিসংখ্যান থাকা প্রয়োজন, যেন নিধন কার্যক্রম সহজ ও সুষ্ঠু হয়।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]