রান্না এখন অনেক আধুনিক হয়েছে সে আর বই এর মলাটের মধ্যে আবদ্ধ নেই। সময়ের সঙ্গে খাতায় লেখা রেসিপিগুলো জায়গা পেয়েছে রেস্তোরাঁ-সহ হোটেলে। শুধুমাত্র তাই নয় বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিযোগীতা। সম্প্রতি কলকাতায় দ্য ভোজ কোম্পানি, হ্যাফল ও মানচিং মঙ্কসের উদ্যোগে আয়োজিত হল অভিনব প্রতিযোগিতা।
খুন্তির কসরতে ফাইনালে বাজিমাত করলেন ৬ জন রাঁধুনী। বিচারক হিসাবে ছিলেন অভিনেত্রী রাইমা সেন। রন্ধন শিল্পী পাঞ্চালী দত্ত ও আফরোজা নাজনীন সুমি, এবিপি আনন্দের শ্রেয়সী চক্রবর্তী, এসআরইআইের প্রধান ধ্রুব ভাল্লা, ফ্যাশন ডিজাইনার প্রণয় বৈদ্য, নেওটিয়া হসপিটালিটির শেফ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় ও শেফ সন্দীপ যাদব।
বিচারকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত পাঞ্চালী দত্ত, রাইমা সেন, আফরোজা নাজনীন সুমি ও শ্রেয়সী চক্রবর...
প্রতিযোগিতায় টেবিলে একই সঙ্গে চমকে দিল স্প্যানিশ ওমলেট, পাস্তা, চিলি প্রনের মতো ডিশ। তার সঙ্গে ফিউজন রান্নার এক বাহারি মেলবন্ধনে ফাইনাল জমে গিয়েছিল। বিচারকরা রীতিমতো ধন্দে পড়ে যান। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায় দেখ অবস্থা! পাত আলো করল স্প্যানিশ ওমলেট, সিরাশা পাস্তা উইথ কোকোনাট মিল্ক। মুগ্ধ করল থাই চিলি প্রন ইউথ পাস্তার মতো রান্না। যতই লাঠালাঠিই হোক না কেন, তাতে আখেরে লাভ হয় ভোজনরসিকদেরই।
প্রতিযোগিতার শেষে সহমত হলেন শীর্ষ বিচারকেরা। প্রথম হলেন কোরিনা পোপা। স্প্যানিশ ওমলেট তৈরি করে বিচারকদের রসনা তৃপ্তি করলেন। দ্বিতীয় হলেন শ্রীময়ী ভট্টাচার্য। সিরাশা পাস্তা উইথ কোকোনাট মিল্কে মন জয় করলেন সবার। তৃতীয় হলেন গৃহবধূ জয়িতা পাথার। আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে গিফ্টের বদলে রান্না করে নিয়ে যেতে ভালোবাসেন তিনি। পাস্তা উইথ চিলি প্রন রান্না করে মুগ্ধ করলেন বিচারকদের।
বিবার্তা/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]