শিরোনাম
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া আজমত আলীকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০১৯, ২২:২৪
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়া আজমত আলীকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরও প্রায় ১০ বছর ধরে কারাগারে থাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি এলাকার আজমত আলীকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।


যাবজ্জীবন দণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আজমত আলীর করা রিভিউ (পুনঃবিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। সোমবার (১৫ জুলাই) এ সংক্রান্ত আদেশের অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে।


আপিল বিভাগ আদেশে বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার পরও তাকে আবার জেলে পাঠানো অযৌক্তিক ও অপ্রত্যাশিত। আদালত তাকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।


মামলার বিবরণে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দি এলাকার পাখিমারা গ্রামের ইজ্জত উল্লাহ সর্দারের ছেলে আজমত আলী। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঘোড়ামারা এলাকার ভেঙ্গুলা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালের ১ এপ্রিল জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এলাকার কলিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম নিহত হন। এ ঘটনায় আজমত আলীকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।


এ মামলায় ১৯৮৯ সালের ৮ মার্চ জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত তাকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আজমত আলী। একই সময় তিনি রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমার জন্যও আবেদন করেন। হাইকোর্টে আপিল আবেদন বিচারাধীন অবস্থায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় ১৯৯৬ সালের ২১ আগস্ট জামালপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এদিকে ২০০৫ সালের ২ মার্চ হাইকোর্টের রায়েও তিনি খালাস পান।


রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি জানা না থাকায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর ফলে ২০০৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামি আজমত আলীকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। এরপর সে হাজির না হওয়ায় আদালতের আদেশে ২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর গ্রামের বাড়ি থেকে আজমতকে গ্রেফতার করে নিম্ন আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে আছেন।


এদিকে আপিলের শুনানি শেষে ২০১০ সালের ১১ আগস্ট নিম্ন আদালতের রায় (যাবজ্জীবন) ও আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন।


এ ঘটনার বিষয়ে আইনজীবীরা জানান, আজমত আলী মুক্তির পর ওই লিভ টু আপিলের বিষয়ে আর খোঁজখবর রাখেননি। ফলে বাদীপক্ষ রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি জানায়নি। অন্য কেউই আর রাষ্ট্রপতির আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করেনি যার ফলে তাকে এ অতিরিক্ত জেল খাটতে হয়েছে।


আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com