মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-ঘাটাইল ৩ আসনের সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রানার পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রানার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমার জানামতে আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় তার কারামুক্তিতে বাধা নেই। এর আগে গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট থেকে যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলায় জামিন পান রানা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। এ মামলার মূল আসামি আমানুর রহমান খান রানা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এদিকে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে।
ওই মামলায় গ্রেফতার বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এমপি রানার নির্দেশে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যার পর তাদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে আসামিরা। এই জোড়া খুনের মামলাতেও রানাকে আসামি করা হয়। তবে গত ৬ মার্চ এ মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
বিবার্তা/তোফাজ্জল/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]