তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গ্রেফতার দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানিকালে বিব্রতবোধের কথা প্রকাশ করেন। এখন নিয়ম অনুসারে মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তারপর প্রধান বিচারপতি আবেদনটির শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করবেন।

আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, অমিত তালুকদার ও অরবিন্দ কুমার রায়।

জামিন আবেদন শুনানির আগে আদালতে আবেদনটির বিষয় (মেনশন) তুলে ধরেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আমাদের একজন বিচারপতি আবেদনটি শুনতে বিব্রত প্রকাশ করেছেন। তাই আবেদনটি শুনবো না।

তখন আদালতের কাছে বিব্রত হওয়ার কারণ জানতে চান সারা হোসেন। কিন্তু আদালত বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সারা হোসেন বলেন, কী কারণে হাইকোর্টের বেঞ্চ বিব্রত করেছেন এটি আমরা আদালতের কাছে জানতে চেয়েছি। আদালত কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।

এর আগে ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত।

এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় গত ২৮ আগস্ট শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

শহিদুল আলম নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেয়ায় ৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

বিবার্তা/জাকিয়া

>>আলোকচিত্রী শহিদুলের জামিন আবেদনের শুনানি আগামী সপ্তাহে