হলমার্ক দুর্নীতির এক মামলার রায় ২৮ ফেব্রুয়ারি
প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০০
হলমার্ক দুর্নীতির এক মামলার রায় ২৮ ফেব্রুয়ারি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সোনালী ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দুর্নীতির অভিযোগে ১১টি মামলার একটিতে হলমার্কের তানভীরসহ ১৯ আসামির মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত।


২৮ জানুয়ারি, রবিবার ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।


এর আগে, আসামি ও দুদকের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করে আদালত। যুক্তিতর্কে দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেছেন।


তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৬/৪০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তিনি ধারাগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন।


২০১০-২০১২ সালের মার্চের মধ্যে সোনালী ব্যাংকসহ দেশি-বিদেশি ৪১টি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে হলমার্ক ৩ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা তুলে নেয়।


এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শেষে পৃথক ৪০টি মামলা করে। এর মধ্যে ফান্ডেড ৩৮টি, আর নন-ফান্ডেড দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১২ সালে ফান্ডেড (সোনালী ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ) ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২৭ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা এবং ২০১৩ সালে ফান্ডেড মামলায় প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আরও ২৭টি মামলা দায়ের করে দুদক। পরবর্তী সময়ে ২০১২ ও ২০১৩ সালে সালের বিভিন্ন সময়ে ৩৫টি মামলায় চার্জশিট এবং ৩টি মামলায় এফআরটি দেয় সংস্থাটি।


চার্জশিট হওয়ার মামলাগুলোর মধ্যে ১১ মামলায় আসামি ২৫ জন। এ মামলার আসামি ১৯ জন।


এরা হলেন, হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম মীর মহিদুর রহমান, উপ- মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক কারাগারে রয়েছেন।


প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের শর্তে ২০১৩ সালের আগস্টে জামিন পান মামলার অন্যতম আসামি হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম। কিন্তু তিনি ছয় বছর জামিনে বাইরে থাকলেও এক টাকাও পরিশোধ না করায় ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তার জামিন বাতিল করে ফের কারাগারে পাঠায় আদালত।


জামিনে রয়েছেন দুই উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার।


হলমার্কের মামলায় পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ডিএমডি (ওএসডি) সোনালী ব্যাংক মো. আতিকুর রহমান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।


এ মামলায় অস্তিত্বহীন ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের নামে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলায় আদালত চার্জশিটে মোট ৮১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন । মামলাটিতে ২০১৬ সালের ২৭ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com