নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় দণ্ডপ্রাপ্ত ডিএসসিসির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের পৃথক দুটি করে মোট চারটি মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত এই নির্দেশ দেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত দুই আসামি ইরফান ও জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের দুটি মামলার এজহার গ্রহণ করে আগামী ১৭ নভেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালত তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলার এজহার গ্রহণ করে আগামী ৩ ডিসেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এদিকে রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ধানমন্ডিতে এমপি হাজী মো. সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে তার স্ত্রীর সামনে মারধর করা হয়। ওইদিন রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, পাঁচটি ভিপিএস সেট, গুলিসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়।
বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। পরে ইরফান সেলিমকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]