শিরোনাম
প্রকাশক দীপন হত্যা: এখনো সমন পাননি তার স্ত্রী
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:৪১
প্রকাশক দীপন হত্যা: এখনো সমন পাননি তার স্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যার বিচারের প্রথম দিনই সাক্ষী উপস্থিত হয়নি; গণমাধ্যমে এমন সংবাদের পর অনেকটা হতবাক হয়েছেন সহধর্মিনী রাজিয়া রহমান জলি। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় এ প্রতিবেন লেখা পর্যন্ত তার কাছে কোনো সমন পৌঁছায়নি। তবে সমন পেলে সেই তারিখ পর্যন্ত তিনি আদালতে হাজির হবেন।


তিনি বিবার্তাকে বলেন, আমি এখনো আদালত থেকে কোনো সমন পাইনি, কিসের ভিত্তিতে সাক্ষ্য দিতে যাবো? কেউ ফোনেও যোগাযোগ করেনি। তবে আদালত থেকে সমন পেলেই সাক্ষ্য দিতে যাব।


এর আগে গত সোমবার প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। আদালত মামলার ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এছাড়াও আদালত নতুন করে সমন জারি করেন।


এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার খান গন্যমাধ্যমকে বলেন, ১৩ অক্টোবর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই দিন সাক্ষীর প্রতি সমন জারির আদেশ দেওয়া হয়। ১১ নভেম্বর প্রফুল্ল ভবন, কবি সুফিয়া কামাল হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ এবং পল্লবীর বাড়ি নং-১০, রোড নং -২ বি-ব্লক এর ঠিকানায় সমন পাঠানো হয়।



সাক্ষী হাজির করা সংক্রান্ত সেলের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক মো. মুস্তাফিজ গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত থেকে সমন পাওয়ার পর শাহবাগ থানায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।


গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় ছয়জন আদালতে হাজির ছিলেন। তখন নিজেরা আদালতের কাছে নির্দোষ দাবি করেন। মামলার পলাতক দুই আসামি জঙ্গিনেতা চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিবের বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।


এর আগে গত ১৯ মার্চ প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মেজর জিয়া ও আকরাম ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও মো. আবদুস সবুর ওরফে সামাদ।


আসামিরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা বা সদস্য। এর মধ্যে মেজর জিয়া এই গোপন সংগঠনের কথিত সামরিক শাখার প্রধান। তাকে ধরিয়ে দিতে এর আগে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর।


অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ জিয়াউল হক।


২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতী প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন প্রায় একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। দুই ঘটনায়ই আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা জড়িত বলে জানা গেছে।


বিবার্তা/খলিল/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com