শিরোনাম
সরকারি চাকরি আইনের ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে নোটিস
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৫৪
সরকারি চাকরি আইনের ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে নোটিস
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।


রবিবার (১৩ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে হিউম্যান রাইটস অ‌্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ নোটিস পাঠান।


আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।


জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব বরাবরে এ নোটিস পাঠানো হয়।


নোটিস পাঠানোর পর অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর অফিসিয়াল গেজেটে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ প্রকাশিত হয়। ওই আইনের বিভিন্ন ধারা যথা: ৫(২), ২৪(১, ৩), ৩৫, ৩৯ (১, ২), ৪২(১, ২, ৪), ৫১ (৪) এবং ৫৫ এর বিধানাবলীতে সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য ঘটিয়ে এবং বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের শর্তাবলীর ব্যতয় ঘটিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বরে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।


আইনটির ধারা ৫(২) এ সরকারি কর্মচারীদের কাজের শর্তাবলী তারতম্যের বিধান করা হয়েছে। ধারা ২৪(১) এবং ৪২(১,২) এ আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীতে বিধান করে আদালত অবমাননার আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। অন্যদিকে ধারা ৩৯ এ ফৌজদারি মামলার অভিযুক্ত কোনো কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।


ধারা ৫১(১) এ দণ্ডপ্রাপ্ত বা অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। উপরন্তু রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না রেখে ধারা ৩৫ এর বিধান করা হয়েছে।


মনজিল মোরসেদ বলেন, এসব বিধানাবলী সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে।


বিবার্তা/এরশাদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com