৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাননি ৭৪ চিকিৎসকসহ ৬৭২ জন সুপারিশ প্রত্যাশী কর্মকর্তা। এর জন্য বিগত সরকারের কোটা সংরক্ষণ নীতিকে দায়ী করেছেন তারা।
৫ অক্টোবর, শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ক্যাডার বঞ্চিতরা।
বঞ্চনা মাথায় নিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে লড়ছেন বলে জানান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক তফিজুল ইসলাম।তিনি বলেন, ‘আমরা হাল ছেড়ে দেইনি। সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। ২০১৩ সালে আমাদের জার্নি শুরু হয়েছিল, এখনও চলমান। শেষ অবধি সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।’
দেশের চাকরির পরীক্ষার ইতিহাসে ৩৪তম বিসিএস কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে ক্যাডার প্রত্যাশী এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোটা সংরক্ষণের নামে ৬৭২টি পদ খালি রাখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
এ নিয়ে বারবার আন্দোলন করেও কোনো প্রতিকার পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টো হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারা বৈষম্যের শিকার, তারা কীভাবে সরকারি চাকরি পায়, সেটি দেখে নেবে স্বৈরাচার সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা চাই, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
ডা. তফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছি, এখনও সাড়া পাওয়া যায়নি’।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জনি বলেন, ‘আমরা সরাসরি কোটা বৈষম্যের শিকার, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাইনি। অন্যান্য বিসিএসে কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি সাংবিধানিক অধিকারহরণ।’
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দুটি দাবি তুলে ধরেন বক্তারা। এর মধ্যে নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে প্রকাশিত আদেশটি বাতিল করার কথা বলা হয়। দ্বিতীয়ত নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএস কোটার জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্য পদে বৈষম্যের শিকার প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ করা।
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]